সাভারে চার জন নিহতের ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের চালক গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে দুই বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে চার জন নিহতের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, একই দিন সকালে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্স চালক জাহিদ হাসান ও শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক জহিরুল ইসলাম। এর মধ্যে, জাহিদ হাসান টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার সুতী লাংগল জোরা গ্ৰামের আয়নাল হকের ছেলে। জহিরুল ইসলাম দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার চাওলিয়া গ্ৰখমের মৃত গোলাম সারোয়ারের ছেলে।
ওসি সওগাতুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বাসচালক জহিরুল ইসলাম ও গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক জাহিদ হাসানকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
এর আগে, গত বুধবার রাতে সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে দুটি বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় নারী, শিশুসহ চার জন নিহত ও অন্তত সাত জন আহত হন।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল থেকে চিকিৎসার জন্য ছেলে মহায়মিন সিদ্দিকী ফুয়াদকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আসছিলেন ফারুক হোসেন ও মহসিনা সিদ্দিকী দম্পতি। সঙ্গে ছিলেন মহসিনার বড় বোন মাহফুজা বেগম। তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি সাভারে পৌঁছালে ঝুমুর পরিবহন ও শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ফারুক সিদ্দিকী পরিবারের ৪ সদস্যের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জু বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন