নওগাঁর রাণীনগরে ধানের দর নিম্নমুখী
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে বিভিন্ন হাটবাজারে ধানের দাম কমতে শুরু করেছে। গত ২০ দিন আগে বাজার উর্ধ্বমুখী থাকলেও এই সপ্তাহ জুড়ে বাজার স্থিতিশীল থাকার পর আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দর নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। এমন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার বড় ধানের হাট ত্রিমোহনীতে।
ধান বিক্রি করতে আসা চাষিরা হতাশা প্রকাশ করলেও চাতাল ব্যবসায়ীরা বলছে, আজকেও যে দরে ধান কেনা-বেচা হচ্ছে এই দামে ধান কিনে চাল বের করার পর বিক্রি করতে গিয়ে প্রায় ১৫০ টাকা প্রতিমণে লোকসান গুনতে হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির কারণে বাজারে ধান ও চালের দর নিম্নমুখী। রাণীনগরে প্রায় ৮০টির মতো হাসকিং মিল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
মিলাররা বলছে, বাজারে ধানের আমদানি কম এবং দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের যে পরতা পড়ছে বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান হচ্ছে। জানা গেছে, রোপা-আমন মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিলো। কাটা মাড়াইয়ের সময়ে সরকার ঘোষিত নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারমূল্য সব সময় বেশি ছিলো।
মৌসুমের শুরুতেই রোপা-আমন ধান জাতভেদে বিভিন্ন দরে বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) ত্রিমোহনী হাটে প্রতিমন স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ১ হাজার ৪২০ টাকা, জিরা, ১৮শ’, কাটারি ১৯শ’, ৪৯ জাতের ধান ১ হাজার ৫৫০ টাকা দরে বেচা-কেনা হচ্ছে।
আরও পড়ুনত্রিমোহনী হাটে ধান বিক্রি করতে আসা এনায়েতপুর গ্রামের চাষি আরিফুল ইসলাম জানান, আমি স্বর্ণা জাতের ধান বিক্রি করলাম প্রতিমণ ১ হাজার ৪২০ টাকা দরে। গত হাটে ধানের দাম একটু বেশি ছিলো। এভাবে দাম কমতে থাকলে আমাদের মতো চাষিদের ইরি-বোরা ধানের আবাদ করতে কষ্ট হয়ে দাঁড়াবে। কৃষি উপকরণের সব কিছুর দাম বেশি।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় হাটবাজারে বর্তমানে ধান দাম কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। আগামী সোমবার থেকে রাণীনগরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হবে। আশা করছি এই সপ্তাহের মধ্যে ধান ও চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।
মন্তব্য করুন