ভিডিও বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কট, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কট, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়নের প্রায় ৬ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা’র জন্য একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কটে সেবা’র কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আউটডোর থেকে প্রায় প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচশ’ রোগী চিকিৎসা নেয়ার জন আসেন তবে গত দু’মাস থেকে নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় যেমন চিকিৎসা পেতে ব্যাহত হচ্ছে রোগীরা।

তেমনি জনবল সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর সঠিকভাবে পরিস্কার না করায় নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। চিকিৎসা নিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে রোগীর স্বজন’রা এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছে বিপাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইউনিয়ন সাব সেন্টারসহ মেডিকেল অফিসারের পদ ২৪টি থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে সংযুক্তিতে আছে ৩জন, মাতৃৃকালীন ছুটি ও ট্রেনিংয়ে রয়েছে ২জন, বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ৪ জন এবং ১৫ জন মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। যেখানে কনসালটেন্ট মোট ১১জনের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে ২জন এর মধ্যে একজন সংযুক্তিতে রয়েছে সদর হাসপাতালে। শূন্য রয়েছে ৮টি পদ।

ডেন্টাল সার্জেন ১জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সেই পদটিও রয়েছে শূন্য। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ১৭ জনের পদ সংখ্যা থাকলেও কর্মও আছেন মাত্র ১জন, তিনিও এমাসেই অবসরে যাবেন। বর্তমানে ১৬টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর মোট ১৮৬ পদ সংখ্যা থাকলে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ৯৬জন শূন্য পদ রয়েছে ৯০টি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তারিকুল ইসলাম তারেক জানান, হাসপাতালে এখন মাত্র ৪ জন ডাক্তার। অনেক বড় উপজেলা প্রায় লাখ মানুষের বসবাস এখানে। এই চারজন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতাল চালানো খুবই কষ্টকর ও স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন

আউটডোর ও ইমারজেন্সি সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এতে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাঘাত ঘটছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি হাসপাতালটিতে বেশ কিছু ডাক্তার প্রদায়ন করলে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাঙ্কিত সেবা নিশ্চিত করবো।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি গাইবান্ধা জেলার উত্তর-পূর্বের তীরবর্তী একটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। তবে হাসপাতালে সব পদেই লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে হাসপাতালে কাঙ্কিত সেবার মান ফিরে আসবে।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা মুঠোফোনে বলেন- সারা বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোর চিত্র প্রায় একই। এই মুহূর্তে কেবলমাত্র নতুন নিয়োগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শ্রম আইনে খুব শিগগিরই পরিবর্তন দেখতে পাবেন : প্রধান উপদেষ্টা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সবাই খালাস

বিজিবির বাধায় কলারোয়া সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতার নির্মাণ বন্ধ

লিফলেট বিতরণ করা বিসিএস কর্মকর্তা মুকিব গ্রেপ্তার

পরীমণি নিজেকে ‘লক্ষ্মীপেঁচা’ বললেন 

শাহজাহান ওমরসহ তিনজন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার