ভিডিও রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে অনলাইন ভূমি সেবায় জনভোগান্তি চরমে

বগুড়ার শেরপুরে অনলাইন ভূমি সেবায় জনভোগান্তি চরমে। প্রতীকী ছবি

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে অনলাইন ভূমি সেবায় ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। খাজনা দিতে না পারায় জমি বেচাকেনায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত ২৬ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইনে ভূমি সেবা সার্ভারটি বন্ধ থাকায় জমির নামজারি, খাজনা আদায়, জমির ই-পর্চা সেবা, ভূমি উন্নয়ন করসহ অনলাইন ভূমি সেবার সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত ই-মিউটেশন সিস্টেম, ই-পর্চা সিস্টেম এবং ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ভূমি মন্ত্রণালয়। পরে ১ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় পরীক্ষামূলক চালু করা হয়। এখন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা গেলেও অ্যাকাউন্টে লগইন জটিলতায় স্থবির হয়ে পড়েছে ভূমি সেবা।

এমনই ভোগান্তির শিকার উপজেলার সেরুয়া গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজুল (৫৭)। হার্টের জটিল সমস্যার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ৭ শতক জমি বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা বায়না নিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে তাকে। পাসপোর্ট ভিসা প্রস্তুত হলেও এখন দরকার টাকা। অথচ, জমি দলিল করে দিতে না পারায় ক্রেতা বাঁকি টাকা দিচ্ছেন না। এদিকে, ভূমি অফিসে খাজনা দিতে না পারায় জমিও দলিল করে দিতে পারছেন না তিনি।

সরেজমিনে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে সেবাপ্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মাসখানেক আগে জমির খারিজ সম্পন্ন করলেও এখন পর্যন্ত খাজনা দিতে পারিনি। সার্ভার জটিলতায় নায়েব খাজনা নিতে পারছেন না, ফলে গত এক মাস ধরে এই ভূমি অফিসে আসছি আর ফিরে যাচ্ছি। কবে নাগাদ এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাব তারা কিছুই বলতে পারছেন না।

আরও পড়ুন

শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের স্ট্যাম্পভেন্ডর নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই মাসযাবৎ জমির কেনাবেচা অনেক কমে গেছে। দলিল রেজিস্ট্রিও তলানীতে নেমেছে। আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন দলিল লেখক জানান, কারিগরি কিছু ক্রটির কারণে নামজারি ও খাজনা আদায় করা যাচ্ছে না। এতে করে আগে যাদের নামজারি ও খাজনা-খারিজ করা ছিল, এখন শুধু তাদেরই জমির রেজিস্ট্রি হচ্ছে।

শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, জমি রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে দৈনন্দিন জমি রেজিস্ট্রির সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, জনসাধারণকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোগান্তি মুক্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যেই সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। ফলে ভূমি সেবা সার্ভারে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন কমেছে এক-তৃতীয়াংশ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পরীক্ষামূলকভাবে বিনাচাষে সরিষা আবাদ, প্রথমবারই সফলতা

শাহজালাল বিমানবন্দরের যাত্রীসেবা আরও বেগবান করার নির্দেশ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বেগুন চাষে কৃষকের বাজিমাত পাঁচ মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা

গাইবান্ধায় চাকরির পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ