কুমিল্লায় রাস্তা থেকে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ১২ জনের দলবদ্ধ ধর্ষণ
নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় রাস্তা থেকে দুই নারীকে তুলে নিয়ে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলায় স মিলে ভিতরে যুবদল নেতার নেতৃত্বে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই নারী।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের ধর্ষণ করা হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে দুই নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো. মহসিন। তিনি বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে। অন্যজন স মিলের মালিক খোকন মিয়া। বাকিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
ভুক্তভোগী দুই নারী বলেন, ‘‘আমরা দুই বোন। ১০-১২ জন মিলে স মিলে আমাদের ধর্ষণ করেন। সবার মুখ দেখলে চিনতে পারব। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তারা ধর্ষণ করেন। তখন স মিলের মালিক সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা আমাদের রাতেও রাখতে চান। আমরা হাতে-পায়ে ধরে তাদের থেকে ছাড়া পাইছি।’’
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই নারীর ধর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। স মিলের মালিক খোকন মিয়া ঘটনার পর পর পলাতক। প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহসিন এলাকা ছাড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর মহসিনকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনমুঠোফোন অভিযুক্ত স মিলের মালিক খোকন মিয়া বলেন, ‘‘জোর করে আমার স মিলে দুই মাইয়া নিয়ে ঢোকে যুবদল নেতা মহসিন। এ সময় তার সঙ্গে আরো ১০-১২ জন ছিল। আমি কিছু করিনি। তারাই সব করেছে।’’ প্রধান অভিযুক্ত মহসিনকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত মহসিনের বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও এলাকায় বিভিন্ন অপপ্রচার হয়। আমার ছেলে নির্দোষ।’’
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি শুনিনি। তবে কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার এ সব অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নিবো না। অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হোক।’’
নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, ‘‘দুই নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলব।’’
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন সরকার বলেন, ‘‘ওসিকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
মন্তব্য করুন