৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানে মাজারে নেতাকর্মীদের ঢল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে তার মাজারে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর জিয়া উদ্যানে স্থাপিত জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
এদিন সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানে মাজারে নেতাকর্মীদের ঢল, ছবি: মির্জা সম্রাট রেজা
জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ৮ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সাবেক সফল সেনাপ্রধান ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তারিখে ব্রিটিশ বেঙ্গলের বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মণ্ডল বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম মনসুর রহমান এবং মাতার নাম জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। ১৯৫৩ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানে মাজারে নেতাকর্মীদের ঢল, ছবি: মির্জা সম্রাট রেজা
সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ ছত্রীসেনা ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ইউনিট এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি সিতারা-ই-জুরাত এবং নয়টি তামঘা-ই-জুরাত পদক লাভ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। প্রথমে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ৮ম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন ক্ষণজন্মা সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন