ভিডিও বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দু’টি খাদ্যগুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দু’টি খাদ্যগুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দু’টি খাদ্য গুদাম এখন পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি। খাদ্য গুদামে ধান দিতে কৃষকের সাড়া মিলছে না। এতে করে সরকারি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। চলতি আমন মৌসুমে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় উপজেলার কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে অনিহা দেখাচ্ছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ হাজর ৮৮৯ মে.টন ধান এবং ১ হাজার ২৩ মে.টন চাল।    উপজেলার দু’টি সরকারি খাদ্য গুদামের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ খাদ্য গুদামে ১ হাজার ২৯৯ মে.টন ধান এবং বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামে ৫৯০ মে.টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলায় ১টি অটোরাইচ মিল এবং ৪১টি হাসকিং রাইচ মিলের মধ্যে ৩৬টি রাইচ মিলের সাথে ৯৭৪.৫২০ মে.টন চাল ক্রয়ের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে হোপ এগ্রো অটো রাইচ মিল ৬৫৫.১১০ মে.টন এবং ৩৫টি হাসকিং রাইচ মিল ৩১৯.৪১০ মে.টন চাল নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট খাদ্য গুদামে সরবরাহ করবে মর্মে মিলারগণ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কোন রাইচ মিলের সাথে চুক্তি করা হয় নাই এমন চালের পরিমাণ ৪৮.৪৮০ মে.টন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, চুক্তিবদ্ধ মিল মালিক বরাদ্দকৃত চাল পরিশোধ করে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে। সরকার কর্তৃক প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা। অথচ খোলা বাজারে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা দরে।

অপরদিকে খোলা বাজারে প্রতি কেজি ধান ৩৫-৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের চেয়ে সরকারি দাম কম হওয়ায় খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহে কোন সাড়া মিলছে না। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে এ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হলেও এখন পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরগঞ্জ খাদ্য গুদাম ও বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন

উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মতিয়ার রহমান ও বেলকা ইউনিয়নের জুয়েল রানা বলেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে গিয়ে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। পাশাপাশি ধানের কোয়ালিটি রক্ষা করতে হয়।এসব ঝামেলার কারণে কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে অনিহা দেখাচ্ছেন। এছাড়াও বাজারমূল্যের চেয়ে সরকারি মূল্য কম হওয়ায় কোন কৃষক ধান দিতে চাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কোন কৃষক ধান বিক্রি করতে গুদামে আসছেন না। তিনি আরও জানান গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার ২টি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ৭৯৩.৭শ’ মে.টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ খাদ্য গুদামে ৫৬৮.১শ’ মে.টন এবং বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামে ২২৫.৬শ’ মে.টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। চাল সংগ্রহের শতকরা হার ৮১শতাংশ। চুক্তিবদ্ধ মিলের বিপরীতে বরাদ্দকৃত চালের মোট মূল্যের শতকরা ২ টাকা হারে জামানত হিসেবে জমা আছে। সেহেতু চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদী।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সার্বিক  চিকিৎসার সর্বশেষ যা জানা গেলো 

কারওয়ান বাজার থেকে আন্দোলনকারীদের উঠিয়ে দিলো পুলিশ

বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, শাহজালালে সতর্কতা জারি

বোমা হামলার হুমকি পাওয়া বিমানে চলছে তল্লাশি

‘শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে আমরা এক নম্বর’

সাবেক মেয়র আতিক আবারও রিমান্ডে