শীতকালের মজার পিঠা

মোঃ কাজী আব্দুল্লা হিল আল কাফী: পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীতকাল এ-সময় সবার বাড়ি বাড়ি পিঠা পুলি বানানোর বেশ আয়োজন করা হয়। এ-সময়ে নানান রকম পিঠা পুলি তৈরি করা হয় । আখ খেজুর রসের গুড়ে ভরায় নানানরকম পিঠা পুলি খেতে ভারি মজা । যেমন তেল পিঠা,পুলি পিঠা,ফুল পিঠা,দুধ পিঠা,রুটি পিঠা,খেজুর পিঠা,নুনাস পিঠা,ঝাল পিঠা ও ভাপা,পিঠা সেমাই পিঠা ,ইত্যাদি ইত্যাদি পিঠা পাওয়া যায় এ-সময় সবাই শীতের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসে। নানী দাদীর হাতের ছোঁয়ায় বানানো মজার পিঠা পুলি খায় । দাদী নানী প্রতিদিন রোজ ভোরে উঠে আটা তেল গুড় বিভিন্নরকম জিনিসপত্র নিয়ে রান্না ঘরে চলে যায়। আগের দিন আটা তৈরী করে ঢেঁকির সাহায্যে ধান থেকে চাল তারপরে আটা করে পিঠা তৈরীর উপযোগী করে। এবং মনের মতো করে নানান রকম পিঠা পুলি তৈরী করেন সকাল বেলায় আমাদের সবাইকে ডেকে পিঠা খেতে বলেন আমরা সবে গরম গরম মজার পিঠা পুলি খাই। এবার আমার কলেজ ও বাবার অফিসের ছুটিতে শীতকালে সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বাবা। এই কথা শুনেই তো অনেক আনন্দে ভরে গেল মনটা। এখন মনে হয় কখন যাবো সেথায়। আর যেন ধৈর্য্য সইছে না। এরকম করতেই বাবা ঠিক করলেন আজ সন্ধ্যায় রওনা দিবেন গ্রামের বাড়ি। তাই সকলে ব্যাগ গোছাতে ব্যস্ত, আমি তো আমার বিভিন্ন জিনিসপত্র নিতে ব্যস্ত, সকল কাজ করতে করতে বিকেল হয়ে গেল, বাইরে খুব কুয়াশায় ভরে গেছে, পড়ছে শিশির কণা, তবুও উপেক্ষা করে চললাম গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্য গাড়িতে চেপে প্রায় পুরো রাস্তা গল্প করতে করতে এসে পৌছালাম গ্রামের বাড়িতে, গাড়ি থেকে নামতেই নানা নানীর সাথে দেখা । নানা তো জড়িয়ে ধরে বললো নানাভাই কেমন আছো কতদিন তোমায় দেখিনা। শরীর সুস্থ আছে তোমার, সবাই মিলে ব্যাগ ও জিনিসপত্র ঘরে নিয়ে গেলাম রাত হয়ে গেছে, রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই মিলে গল্প করতে করতে বেশ সময় কাটিয়ে দিলাম। একটু পরে সবাই ঘুমাতে গেলাম পরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করেই নানা ভাই সহ বাজারে গেলাম বাজার করতে কিছুক্ষণ পরে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে নিয়ে বাড়িতে ফিরলাম। বাড়িতে এসেই নানী বললো যে আজ বিকেলবেলা পিঠা বানাবো তাই দুপুর বেলা খাওয়া দাওয়া করার পর একটি জিনিসপত্রের তালিকা দিলেন নানী নানা ভাইকে সেখানে লেখা ছিল গুড়,তেল,দুধ,নারিকেল,ও অন্যান্য দ্রব্যাদি।
আমরা দু'জন মিলে বাজারের দিকে রওনা দিলাম। গ্রামে আসলে তো নেই বাঁধা নেই পড়ালেখা নেই কোনো চাপ একবারে মুক্ত আকাশের পাখির মতো স্বাধীন। গাড়িতে চেপে বাজারে গেলাম দু'জনে, বাজারে যেয়ে দ্রুত সকল যাবতীয় জিনিসপত্র কিনলাম এবং বাড়িতে ফিরে আসলাম। এসেই নানীর হাতে বাজারের ব্যাগ দিলাম দিয়ে বললাম দেখ তোমার দেওয়া সকল জিনিসপত্র আছে কি না? নানী বললো সব ঠিক আছে। নানী এগুলো নিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলেন। বাইরে এসে আটা কুটে নিয়ে গেলেন যেয়ে পিঠা পুলি বানানোর জন্য সবকিছু ঠিক করলেন। তারপরে বললেন আজ সন্ধ্যা বেলায় পুলি পিঠা ও ফুল পিঠা দুধ পিঠা তৈরি করবো। এই বলে সকল দ্রব্য প্রস্তুত করলো। আমি পাশে বসে দেখলাম নানী প্রথমে পুলি পিঠা তৈরি করার জন্য নারিকেল কুটে অন্য পাত্রে রেখে দিলো কিছুক্ষণ পরে আটা গুড়,নারিকেল,নিয়ে পিঠা তৈরি করতে শুরু করলেন।
আরও পড়ুনএভাবে তো সব পিঠা তৈরি করা শেষ করলেন এবং শেষে সবাইমিলে একসাথে বসে কতোই না মজা করে খেলাম এবং গল্প করলাম পিঠা খেতে তো ভারি মজা। এভাবে আনন্দে কেটে গেল কয়েকটি দিন তারপরে শহরের দিকে রওনা দিতে হলো। যদিও আসতে মন না চায় তবুও আসতে হবে।
মন্তব্য করুন