মেহজাবীন-রেহানের হাত ধরেই ‘সেলিব্রিটি’স চয়েস’র যাত্রা শুরু
অভি মঈনুদ্দীন ঃ দীর্ঘ পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশেষত বাংলাদেশের টিভি নাটকে একজন নন্দিত গুনী অভিনেত্রী হিসেবে বলা যায় রাজত্বই করে আসছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
আবার গেলো বছরের শেষপ্রান্তে মুক্তিপ্রাপ্ত শঙ্খদাশ গুপ্তের ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের মধ্যদিয়ে মেহজাবীন দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। ‘প্রিয় মালতী’তে তার অভিনয়ের প্রশংসা এখনো বহমান। বিগত বেশ কয়েকবছর যাবত নাটকে কিংবা ওটিটি প্লাটফরমের কাজ খুউব বেছে বেছে করছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
শুধু তাই নয় ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে কোথাও কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনে গেলেও মেহজাবীন বুঝে শুনেই যাবার চেষ্টা করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মেহজাবীন রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে যাত্রা শুরু হওয়া ফারহানা সামাদ তিশা’র ‘সেলিব্রিটি চয়েস’র। এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় মেহজাবীনের হাত ধরেই।
নির্ধারিত সময় বিকেল চারটায় এসে উপস্থিত হয়ে বর্তমান সময়ের নতুন প্রিয় মুখ মডেল ও অভিনেতা ফররুখ আহমেদ রেহান’কে সঙ্গে নিয়ে ‘সেলিব্রিটি চয়েস’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়। তিশাকে সঙ্গে নিয়ে মেহজাবীন ও রেহান বিশালাকার এক কেকও কাটেন।
আরও পড়ুনরাজধানীর বনানী’র ১১’তে অবস্থিত ‘তিশাস বিউটি হাব’ ও পুলিশ প্লাজায় (৪৮৩-৮৪) অবস্থিত ‘সেলিব্রিটি’স চয়েস’এর সত্ত্বাধিকারী তিশা বলেন,‘ আমার সেলিব্রিটি’স চয়েস মূলত দেশ বিদেশের সব ধরনের ওয়েস্টার্ণ আউটফিট সবসময়ই পাওয়া যাবে। ফ্যাশনের ব্যাপারে যে সকল সেলিব্রিটিরা, মেয়েরা ভীষণ সচেতন তাদের জন্যই এই আউটফিট শতভাগ বিশ্বস্ততার। আমি আন্তরিকতার সাথেই বলছি এই ধরনের আউটফিট ঢাকায় কোথাও পাওয়া যাবেনা। মূলত সেলিব্রিটিদের জন্য এবং যারা নিজেকে সেলিব্রিটি ভাবতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আমার এই প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য বলেই মনেকরি।’
সেলিব্রিটি’স চয়েস নিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন,‘ তিশার সঙ্গে অনেক আগেই আমার পরিচয়। তার তিশা’স বিউটি হাব থেকেও এর আগে আমি সৌন্দর্য্য বিষয়ক সার্ভিস নিয়েছি। আমার ভীষণ ভালোলেগেছিলো। তার সঙ্গে সম্পর্কটা ভীষণ আন্তরিক। তার নতুন প্রতিষ্ঠান সেলিব্রিটি’স চয়েস-এ এসে মুগ্ধ হলাম। খুউব সুন্দর এবং একেবারেই আনকমন আউটিফিট আছে। অনেক অনেক শুভ কামনা তিশা ভাবীর সেলিব্রিটি’স চয়েস’র জন্য।’
রেহান বলেন,‘ তিশা আপুর নতুন প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরুর কালে থাকতে পেরে ভীষণ ভালোলাগলো। সঙ্গে প্রজন্মের গুনী অভিনেত্রী মেহজাবীন আপু ছিলেন, এটাও আমার কাছে ছিলো আরো ভালোলাগার।’
মন্তব্য করুন