তেঁতুলিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে ফুটেছে বিদেশি বাহারি প্রজাতির টিউলিপ ফুল
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : তেঁতুলিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জিপাড়ায় একখন্ড জমিতে ফুটেছে বিদেশি বাহারি প্রজাতির টিউলিপ ফুল। জানা যায় শীত প্রধান অঞ্চলের বসন্তকালীন ফুল টিউলিপ। বৈজ্ঞানিক নাম ‘টিউলিপা’। যা নেদারল্যান্ডস’ এ টিউলিপ ফুল জন্মায়।
অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদনকারী উদ্ভিদ। এটি বাগানে কিংবা কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হয়। ফুলদানীতে সাজিয়ে রাখার জন্য এর আবেদন অনন্য। বর্ষজীবি ও কন্দযুক্ত প্রজাতির এই গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভূক্ত উদ্ভিদ। টিউলিপের প্রায় ১৫০ প্রজাতি এবং অসংখ্য শংকর জাত রয়েছে। সাধারণভাবে বিভিন্ন ধরণের হাইব্রিডসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই টিউলিপ নামে ডাকা হয়। এর বীজগুলো ঠিক পিয়াজের মতো।
রোপণের ২১-২২ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে ফুল এসে যায়। পর্যটনে ইকো ট্যুরিজমকে বাস্তবায়নে চার বছর ধরে প্রান্তিক নারীদের হাতে বিদেশি ফুল চাষ করছে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও)। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ৯টি প্রজাতির বাহারি টিউলিপ ফুল চাষ হয় তেঁতুলিয়া সদর ইউ’পির দর্জিপাড়া গ্রামে। মশারি নেট দিয়ে মুড়ানো একখন্ড জমিতে বাগানে সারি সারি লাইনে সবুজ পাতার মাঝে টিউলিপ ফুলের কলি বের হচ্ছে।
টিউলিপের ৯টি প্রজাতি হলো সানি রাজকুমার, পিঙ্ক আর্ডোর, প্যারেড, অক্সফোর্ড, কমলা ভ্যাব বরলশ, ফেরডেক্স, অ্যাপেলডুম, ব্লাশিং এলিট ও মেস্টিক ভ্যান ইউজক। টিউলিপের সৌন্দর্যে তেঁতুলিয়া সীমান্তবর্তী দর্জিপাড়া গ্রাম যেনো একখন্ড নেদারল্যান্ড বনে গেছে। এই টিউলিপ ফুল ঘিরে পর্যটন শিল্পে নতুনমাত্রা যোগ হয়েছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া।
আরও পড়ুন
টিউলিপ চাষি দলের সদস্য রবিউল ইসলাম ও মুর্শিদা খাতুন জানান, চতুর্থবারের মতো এ অঞ্চলে নেদারল্যান্ডের রাজকীয় টিউলিপ আবাদ শুরু হয়েছে। প্রথমবার এ অঞ্চলে টিউলিপ চাষ সাফল্যের পর ধারাবাহিকভাবেই প্রতি বছর এখন ভারি শীত মৌসুমে এ ফুলের আবাদ করে আসছি। গত তিন বছর ধরে আমাদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে ইএসডিও সংস্থাটি। এবার ফুল চাষের পাশাপাশি ইকো ট্যুরিজম হিসেবে বিদেশে শাক-সবজি আবাদ করেছি।
ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান বলেন, বাংলাদেশের খামার পর্যায়ে চতুর্থবারের মতো তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া গ্রামে টিউলিপ চাষ করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ড থেকে বীজ এলসি করে আনাটাই চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে ফুলগুলো অনেক দিন থাকবে।
আশা করছি আগামী দুই মাস এ টিউলিপের রাজকীয় সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াবে সারাদেশে। বিশেষ করে টিউলিপ চাষে ব্যাপক পর্যটকের আগমনে আমাদেরকে বিস্মিত করে। পর্যটকের কথা চিন্তা করে গত রোববার টিউলিপ উদ্যান উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন