দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ভ্যালেন্সিয়া আলুর কৃষি মাঠ পরিদর্শন
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ১ হাজার একর জমিতে ভ্যালেন্সিয়া আলুর জাত নিয়ে এসেছে এসিআই সীড। একই মৌসুমে একই জমিতে দুইবার আলু চাষের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ভ্যালেন্সিয়া কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
এটি ৯০ দিনের মধ্যে হেক্টর প্রতি ৪৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম যা দেশের বিদ্যমান জাতগুলোর তুলনায় অনেক বেশি আরও চমকপদ হলো এটি মাত্র ৫ থেকে ৬০দিনের মধ্যে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন ফলন দিতে পারে, এভাবে আগাম আলু তুলে উচ্চমূল্যে বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় আলুর ক্ষেত পরিদর্শন করেন এসিআই এগ্রিবিজনেস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারি, প্রতিষ্ঠানের বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার ড. মিজানুর রহমান, এসি আই সীড এর ডিজিএম ড. নুরুল আলম সিদ্দিক প্রমুখ।
মাঠ পরিদর্শনকালে ড. এফ এইচ আনসারি বলেন, ‘ভ্যালেন্সিয়া আলুর বৈশিষ্ট্য হলো এটি ৯০দিনের মধ্যে হেক্টরপ্রতি ৪৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এর শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং তেল শোষণের হার ৩ শতাংশের নিচে। অন্যান্য আলু স্ক্যাব রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভ্যালেন্সিয়া স্ক্যাব সহনশীল জাত হওয়ায় কৃষককে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না।
আরও পড়ুনদিনাজপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার ড. মিজানুর রহমান জানান, চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে দিনাজপুরে ১ হাজার একর জমিতে এসিআই ডায়মন্ড, এস্টারিজ, মিউজিকা, এসি আই আলু-১৪, এসিআই আলু-১৯, এসিআই ফ্রাই আলু-২, এসিআই পাকরি-১, এসিআই পাকরি-২, কার্ডিনালসহ মোট ১২ জাতের আলু বীজ উৎপাদন হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বেশি এস্টারিজ এবং ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু চাষ হচ্ছে। ২ হাজার ৭শ’ কৃষক এসিআই আলু বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত রয়েছেন।
মন্তব্য করুন