ভিডিও বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

রেলে ‘রানিং অ্যালাউন্স’ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি

রেলে ‘রানিং অ্যালাউন্স’ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি। প্রতীকী ছবি

“রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন।" রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ‘রানিং অ্যালাউন্স’ সুবিধা বহাল রেখে এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকারের অর্থ বিভাগ।

অর্থ বিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের স্বাক্ষরে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি)। তাতে বলা হয়েছে, “রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা প্রাপ্য হবেন না।"

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিকের দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রানিং স্টাফরা। তাতে মঙ্গলবার সারাদিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। নজিরবিহীন এই পরিস্থিতিতে স্টেশনে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আগাম টিকেটের যাত্রীদের।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আলোচনার পর আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে যোগাযোগ ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠকের পর চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ট্রেন চলাচল শুরুর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।

এতে প্রায় ৩০ঘণ্টা পর আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে রেলের সূচি গড়বড় হওয়ায় বুধবার কোনো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে পারেনি। গার্ড, লোকামাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকো মাস্টার এবং টিটিইরা রেলের রানিং স্টাফ। এরা ট্রেন চালানোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। সারাদেশে রেলওয়েতে ১৭ শর বেশি রানিং স্টাফ কাজ করেন।

আরও পড়ুন

দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের আগে দেওয়া হত বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পেতেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হত।

এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয়, তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হত। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফরিদপুরে বখাটে যুবকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা 

জামালপুর মহাসড়কে ট্রাক-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

দল গঠন বা পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ

ছাত্ররা নিজেরাই দল গঠন করবে: ড. ইউনূস

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা দেখতে চাই -ডা. শফিকুর রহমান

প্রবাসীদের জন্য অনলাইন ভোটিং চালুর বিষয়ে যা জানালো ইসি