নিলয় আলমগীরের দশ নাটকে গাইলেন মৌলি
অভি মঈনুদ্দীন ঃ মৌলি মজুমদার এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তার প্রকাশিত বেশকিছু মৌলিক গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে প্রকাশিত হয়েছে তার কন্ঠে ‘সাত জনম’ শিরোনামের একটি গান। সঙ্গে আছেন একে অয়ন।
গানটি শ্রোতা দর্শকের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। গানটিতে মডেল হিসেবে আছেন ইমতু ও শাকিলা পারভীন। গানটি লিখেছেন সিয়াম সরকার জান, সুর সঙ্গীত করেছেন এইচআর পবিত্র। তবে মৌলির কাছে ভালোলাগার বিষয় হলো তিনি এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা নিলয় আলমগীরের দশটি নাটকে গান গেয়েছেন।
তানভীর তন্ময় পরিচালিত ‘উড়ালম মন’ নাটকের সূচনা সঙ্গীত ‘উড়াল মন’ নাটকটি শ্রোতা দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। নিলয়ের সঙ্গে এই নাটকে অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি। গানটিতে মৌলির সঙ্গে গেয়েছেন সাদমান। গানটি লিখেছেন ও সুর সঙ্গীত করেছেন আপেল মাহমুদ এমিল। এই গানের কথা ও সুর বিশেষত মৌলির কন্ঠে যেন এক অন্য রূপ পেয়েছিলো। গানের শুরুটা সাদমান করলেও যখন মৌলির কন্ঠ গানে আসে তখন যেন গানটি অন্য এক রূপ পায়। ‘উড়াল মন’ গানটি ছাড়াও আরো আটটি গানে কন্ঠ দিয়েছেন নিলয় আলমগীর অভিনীত নাটকে।
এরইমধ্যে নিলয় অভিনীত ‘গুণ্ডা’ নাটকেও কন্ঠ দিয়েছেন মৌলি মজুমদার। জুবায়ের ইবনে বকর পরিচালিত ‘গুণ্ডা’ নাটকের গানের শিরোনাম ‘তোমারই হবো’। গানটি লিখেছেন মেঘদূত আলী, যিনি মৌলির সাথে এই গানে কন্ঠ দিয়েছেন। সুর সঙ্গীত করেছেন যথারীতি আপেল মাহমুদ এমিল। এরইমধ্যে রাজধানীর উত্তরায় এমিলের স্টুডিওতে মৌলি গুণ্ডা’ নাটকের গানে কন্ঠ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনএকের পর এক নিলয় আলমগীরের নাটকে গান গাওয়া প্রসঙ্গে মৌলি মজমুদার বলেন,‘ নিলয় ভাই আমার ভীষণ প্রিয় একজন অভিনেতা। তার অভিনীত বহু নাটক আমি দেখেছি, তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি। তার অভিনীত নাটকে উড়াল মন-গানটি গেয়ে বেশ সাড়া পেয়েছি। তবে দেখতে দেখতে তার অভিনীত দশ নাটকে গান গাওয়া হয়ে যাবে, এটা ভাবিনি। কিন্তু যখন হিসেব করা হলো তখন বুঝতে পারলাম যে একে একে দশটি নাটকে গান করা হয়েছে। আমি এর জন্য বিশেষত কৃতজ্ঞ এমিল ভাইয়ের কাছে। কারণ তিনিই আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন। তার কাছে সত্যি কথা বলতে গেলে আমি ভীষণ ঋণী। কারণ তার জন্যই অনেক নাটকে গান করার সুযোগ হয়েছে আমার।’
এদিকে পরিচালক সেলিম রেজারই পাঁচটি নাটকে গান গেয়েছেন মৌলি মজমুদার। নাটকের নাম হলো ‘‘বুনোফুল ও ভাঙ্গা ফুলদানি’,‘ ইতি তোমার আলো’,‘ শেষ প্রহরে তুমি’,‘ শেষের তুমি’,‘ শেষের বিন্দু’।
মন্তব্য করুন