ভিডিও রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সড়ক পথ কবে নিরাপদ হবে!

সড়ক পথ কবে নিরাপদ হবে!। ছবি : দৈনিক করতোয়া

প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মদন মোহন তর্কালঙ্কার বলেছেন, দুঃসাহসে দু:খ হয় আসলে দুঃসাহসে দুঃখ হয়। সড়ক পথে এক শ্রেণী জেদী অদক্ষ খাম খেয়ালীপনা চালক দুঃসাহস দেখাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। কোনো মানুষই পৃথিবীতে চিরদিনের জন্য আসে না। একদিন এ পৃথিবীর মায়া মমতা ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয়। কিন্তু যাওয়ার প্রক্রিয়া বা রাস্তাটি যদি স্বাভাবিক হয় তখন কারো কিছু তেমন বলার থাকে না।

এজন্য মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যু কামনা করে। যদিও সব মৃত্যুই বেদনা দায়ক। কিন্তু এমন কিছু মৃত্যু আছে যা মানুষ মেনে নিতে পারে না। সড়ক বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ যখন ঝরে যায়, তখন মানুষ তা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। কারণ এ ধরনের মৃত্যু অস্বাভাবিক। এ অস্বাভাবিক মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক, মানুষকে আহত করে। যেভাবেই হোক এ অপঘাতে মৃত্যু থামাতে হবে।

বিদায়ী বছরে (২০২৪) বাংলাদেশে সংঘটিত ছোট বড় ৩৮ হাজার ৫৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৪৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুর্ঘটন্য়া আহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ১১৩জন। অতি সম্প্রতি বার্ষিক এক প্রতিবেদনে সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা এ তথ্য জানান। সড়ক পথে বিশৃঙ্খলা ও আইন না মেনে যানবাহন চলাচলের কারণে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল, নিউজ পোর্টাল এর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, ৩৫০ সিসি’র দ্রুতগতি সম্পন্ন মোটরসাইকেলের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১০ হাজার ৯৮১টি ছোট বড় দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩০৩জন। আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৬৬জন। ৮ হাজার ৩১৩টি ট্রাক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৩১৬জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৫০জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ধারিত গতিসীমা না মানা, বিশ্রাম না নিয়ে একটানা ১২ থেকে ২০ ঘন্টা বাহন চালানো সহ নির্ধারিত ট্রাফিক আইন না মানায় ৯ হাজার ৪৩৯টি ছোট বড় বাস দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮জন নিহত ও ৯ হাজার ২৯১জন আহত হয়েছেন। সেই সাথে দায়িত্বে অবহেলা, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ বাহন, নছিমন, করিমন এবং অন্যান্য তিনচাকার বিভিন্ন ধরনের বাহনে ৯ হাজার ৮০৭টি ছোট বড় দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৭৯৭জন।

আহত হয়েছেন ১১ হাজার ২৪জন (৩১ ডিসেম্বর দৈনিক করতোয়া)। তবে একথা অস্বীকার করা যায়না যে, বর্তমান ধনাঢ্য পরিবারের উঠতি বয়সী কিছু সংখ্যক ছেলে অতি দ্রুতগতি সম্পন্ন মোটরসাইকেল ছোট বড় রাস্তায় এঁকে বেঁকে চালাতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছে। বর্তমান শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে বাস, ট্রাক, মটরবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের চালকদের অবশ্যই সচেতন এবং সজাগ থাকতে হবে। এ ঘন কুয়াশায় প্রতিযোগী মনোভাব পরিহার করলে এ সমস্ত ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন যানবাহনে অহরহ দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। প্রতি বছর এমনকি প্রতি মাসে অসংখ্য দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহত হয়। এ দুর্ঘটনা যেন আমাদের নিয়তির পরিহাসের চলমান প্রক্রিয়া। এসব দুর্ঘটনায় যেমন মানুষের প্রাণহানি ঘটে তেমনি যারা প্রাণে বেঁচে যান তারা বিভিন্নভাবে শারীরিক দিক থেকে বিকলাঙ্গ হয়ে অভিশপ্ত জীবনকে বয়ে বেড়াতে হয় সারাটি জীবন। আহত পঙ্গু ব্যক্তিদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন সম্ভাবনা অপূর্ণই থেকে যায়। ফলে নেমে আসে পরিবারে অবর্ণনীয় দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা যন্ত্রণা।

কয়েক বছর ধরে ক্রমাগতভাবে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেতে পেতে এমন এক পর্যায়ে নেমে এসেছে যে, জীবনের কোন্ োনিরাপত্তা নেই। যানবাহন যেন দানবের ভূমিকা পালন করছে। মানুষ যেন অসহায়। চালকের ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বাস, ট্রাক হঠাৎ করে অসহায় জীবনে নেমে আসছে গভীর শোক। কখনো বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ পথচারীকে সজোরে ধাক্কা, বাস ছিটকে পড়ছে গভীর খাদে কখনও চলন্ত বাস সজোরে রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

আমাদের সড়ক পথ যেন দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণহানী তার বড় প্রমাণ। স্বাধীনতার পর পর প্রয়াত সাংবাদিক নির্মল সেন বলেছিলেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আমরা সে গ্যারান্টি আজও দিতে পারিনি। অস্বাভাবিক মৃত্যু ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে। সড়ক বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় কারো স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা-মাতা বা আপনজন কেউ মারা গেলে এ মৃত্যু অত্যন্ত কষ্ট ও বেদনাদায়ক।

সড়ক দুর্ঘটনায় আর কারো যেন মৃত্যু না ঘটে, কেউ যেন আপনজন না হারান তাই বিবেকবোধ থেকেই ইলিয়াস কাঞ্চন মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তবুও নিরাপদ সড়ক চাই এ শ্লোগানটি সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে পারছে না যার বড় প্রমাণ সড়ক দুর্ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে, মানুষ মরছে।

প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতা খুললে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিত্র। সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এযেন আমাদের নিয়তির পরিহাস। এসব মৃত্যু যেন নিয়তি নির্ধারিত। তবে অধিকাংশ দুর্ঘটনার মূল কারণ, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও লাইসেন্স বিহীন চালক। তাছাড়া অদক্ষ ড্রাইভার, অতিরিক্ত পণ্য সামগ্রী বা অতিরিক্ত যাত্রী চলন্ত বাসে চালকের মুঠোফোন ব্যবহার, ইত্যাদি দুর্ঘটনার কারণ।

প্রকৃতপক্ষে কতজন চালকের বৈধ লাইসেন্স আছে? বেশিভাগ চালকের বৈধ লাইসেন্স নেই। এসবের মাঝে আবার ফিটনেস বিহীন লক্কর ঝক্কর কত গাড়ি যে, সাধারণ সড়ক ও মহাসড়কে চলছে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। তাছাড়া আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও সুশাসনের অভাবতো রয়েছে। এভাবে দুর্ঘটনায় আর কত মায়ের কোল শূন্য হবে। কত পরিবারে নেমে আসবে অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ট শোকের মাতম।

এর শেষ কোথায় তা কেউ বলতে পারে না। মানুষের কারণে মানুষের মৃত্যু মানুষের কারণে(চালক) সড়ক পথে দুর্ঘটনায় আর কত মানুষের প্রাণ যাবে ? মানুষের জীবনতো অবহেলার নয়। অথচ মানুষের জীবন আজ সব চাইতে অবহেলা, অবজ্ঞার বস্তুতে পরিনত হয়েছে। কিন্তু মানুষের জীবন কারও না কারও অবহেলা, অবজ্ঞা, স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতার কারণে ঝরে যেতে পারে না।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নতির পথে অগ্রসরমান হলেও সড়ক-মহাসড়কে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। সড়ক পথে যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু নিয়ম কানুন, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সড়কে চলছে এক ধরনের নৈরাজ্য। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা কি থামাতে পেরেছি রেল, নৌ বা সড়ক পথে দুর্ঘটনা?

দুর্ঘটনা যে আমাদের পিছু ছাড়ছে না। এতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কি অপ্রতিরোধ্য? যে কোনো যানবাহনে চালকের খাম খেয়ালিপনা স্বেচ্ছাচারি মনোভাবের কারণে বার বার দুর্ঘটনা ঘটবে মানুষ মরবে এটা কোনো ক্রমেই মেনে নেয়ার বিষয় নয়। তাহলে মানুষের জীবনটা কি এতটাই তুচ্ছ?

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আবার সড়ক কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ এর হিসাব মতে, প্রতিদিন সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ৩০জন। সে হিসেবে বছরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০হাজার ৮’শ জন। আবার বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে, বছরে ১২হাজার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী ২০হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। অন্যদিকে বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্স ইন্সটিটিউট(এআরআই) এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ নিহত হন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত এ তথ্য শুধু সড়ক দুর্ঘটনা। এছাড়া বাংলাদেশের রেল ও নৌ দুর্ঘটনা তো রয়েছে। সুতরাং কোন্ োদুর্ঘটনায় থেমে নেই, দুর্ঘটনা ঘটছেই। তাই স্বজনদের কান্না কি থামবে না ?  চলতেই থাকবে? কি কারণে বা কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে এটা কারও অজানা নয়। পৃথিবীর সব দেশে অবশ্য দুর্ঘটনা ঘটে, তবে তার সংখ্যা অতি নগণ্য। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির বিধান ও সুশাসনের কারণেই অন্য দেশগুলোতে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার খুবই কম। কিন্তু আমাদের দেশে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও সুশাসনের অভাবেই যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত বেদনা দায়ক।

মর্মস্পর্শী এসব ঘটনায় আর কত মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। প্রতিটি দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রশাসনে নানা তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন পারিকল্পনাও গ্রহণ করে। তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়। অতীতে বহু তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। পরিতাপের বিষয় বেশির ভাগ দুর্ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। তবে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। আইনের ফাঁক দিয়ে আসামীরা বেরিয়ে গেছে।

কোনো সরকারই সড়ক দুর্ঘটনা রোধের কঠোর আইন প্রণয়ন করেননি। বরং চালকের শাস্তি লঘু করা হয়। এমন কোনো দিন নেই যেদিন দেশের কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে না। দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু খবরে আমরা মর্মাহত হই। সেটা নৌ, সড়ক, রেল বা যে কোনো দুর্ঘটনায় হোক না কেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বার বার সতর্কতা অবলম্বনের বলা হলেও টনক নড়ে না, ঘুম ভাঙনে না কর্তৃপক্ষের। ফলে বার বার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় আমাদের।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্ঘটনা রোধে সড়ক ব্যবস্থারও সংস্কার করা প্রয়োজন। তাই প্রশ্ন আসে কবে সড়ক পথ নিরাপদ হবে। দুর্ঘটনায় আর কত মানুষের প্রাণ গেলে প্রশাসন, কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কঠোর হবে। সড়ক দুর্ঘটনার মুল কারণ বহুবার চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু কোন ফল হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায় নি।

যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন চলাচলের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শা্িস্তর ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, আইনের ফাঁক বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।

মনে রাখতে হবে শুধু কথার ফুল ঝুরিতে সড়ক পথে বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাবে না বরং এতে মৃত্যুর হার আরও বাড়বে। তাই মানুষের কারণে বা অপঘাতে মৃত্যু যে কোনো ভাবেই  হোক রোধ করতে হবে।

 

মোহাম্মদ নজাবত আলী
লেখক : সাবেক শিক্ষক ও কলামিস্ট
সহকারী শিক্ষক (অব.)

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার আমদানি বন্ধ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপর ‘জয় বাংলা’

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে দুই বস্তা ফেন্সিডিলসহদুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

সিরাজগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ৩ বন্ধু নিখোঁজ

বগুড়া ধুনটে চুরি ঠেকাতে পুলিশি টহল ব্যর্থ : সড়কে চেকপোস্ট

তিন মেয়েকে নিয়ে পঙ্গু ফরিদুলের মানবেতর জীবনযাপন, দানশীলদের সহায়তা কামনা