ভিডিও বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টাকার কাছে হারতে বসেছে স্বপ্ন

বগুড়ায় নরসুন্দরের ছেলে শয়নের মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত

বগুড়ায় নরসুন্দরের ছেলে শয়নের মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত। ফাইল ছবি

স্টাফ রিপোর্টার : অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মেনেছে দারিদ্রতা। সংসারে টানাপোড়েনের মধ্যেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করে অর্থাভাবে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার উপক্রম হয়েছে শয়ন কুমার দাসের। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান কাহালুর নারহট্ট ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের নরসুন্দর সঞ্জয় কুমার দাসের ছেলে শয়ন কুমার দাস। ছেলের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সঞ্জয় কুমার দাস সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।

পৈত্রিক বাড়ি কাহালুতে জায়গা-জমি না থাকায় দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে শয়নের বাবা সঞ্জয় কুমার পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তিনি ওই এলাকাতেই নরসুন্দরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালনা। সঞ্জয়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে। সংসারে অভাব থাকায় ছেলেকে প্রয়োজনীয় টিউশন দিতে পারেননি। তারপরেও মেধাবী ছেলে শয়ন নিজের ইচ্ছা শক্তি দিয়ে তার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে এখন।

শয়নের মা শিপ্রা দেবী বলেন, সংসারে টানাপোড়েনের মধ্যে স্বামী সঞ্জয় অসুখে পড়ার ফলে দীর্ঘদিন কাজ করতে না পারায় তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ছোটবেলা থেকেই ছেলে মেধাবী হওয়ায় প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি দিয়ে আজ মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ভর্তি শুরু। ইতিমধ্যে কিছু টাকা ধার-কর্জ করে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন ছেলেকে ভর্তি করাতে। তিনি সকলের কাছে ছেলের জন্য আশীর্বাদ কামনাসহ তার লেখাপড়া যাতে চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানান।

শয়নের বাবা সঞ্জয় কুমার জানান, সেলুনের কাজ করে যে টাকা তিনি রোজগার করেন তা দিয়ে তার সংসারের খরচ চলে না। এ ক্ষেত্রে তার কিছু গ্রাহক শুভাকাঙ্খী তাকে কিছুটা সহায়তা করেন। আর বাঁকিটা তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে কোনমতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার স্ত্রী শিপ্রা এর আগে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে আয়ার কাজ করলেও অসুস্থতার কারণে আর করতে পারেন না। তিনি ছেলে শয়নের ডাক্তার হওয়া পর্যন্ত সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন

ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দা নওগাঁর বদলগাছির বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শেখ করতোয়া’কে বলেন, আর্থিক অনটনের মাঝেও সঞ্জয় খুব কষ্ট করে তার ছেলে শয়নকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। তার পরিবারের দৈন্যদশা তিনি কাছে থেকে দেখেছেন।

তিনি শয়নের মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য আর্থিক ও মানবিক সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান। যোগাযোগের জন্য অনুরোধক্রমে বাবা সঞ্জয় সঞ্জয় কুমার দাস 01745761296, মা শিপ্রা দেবী 01785812463 (বিকাশ পার্সোনাল নম্বর)।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাটারীচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, দুর্ভোগে পথচারী ও স্থানীয়রা

বৃহস্পতিবার থেকে কমতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

নরসিংদীতে লটকন বাগানে পড়ে ছিল প্রায় ১০০ কেজি গাঁজা

শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে : তারেক রহমান

সাতক্ষীরায় লিফলেট বিতরণকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক

নাটোরের সিংড়ায় শিবিরের ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন