ভিডিও বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিয়মিত বাজার নজরদারি করুন

নিয়মিত বাজার নজরদারি করুন

শীত মৌসুমে সবজির বাজারে এখনও স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে চালের বাজার নিয়ে চাপে আছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। বাজারে চড়া চালের বাজার। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি ও আলুর দাম। আর আগের মতোই সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি। এদিকে বাজারে গত একমাসে চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। পরে সরকার চালের শুল্ক কমিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়। তারপরও চালের দাম কমেনি। বিক্রেতারা জানান, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালকল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। শনিবার ঢাকার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা ও মাঝারি ধরনের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০-৬৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে আলুর দাম এখন বেশ কম। বাজার ভেদে এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৩০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে পাঁচ টাকা দাম কমেছে।


বিক্রেতারা বলছেন, চালকলগুলো অস্বীকার করলেও তারাই চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। নানা অজুহাতে বড় মিলগুলো দাম বাড়ানোর পর দেখাদেখি অন্যরাও বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে চালের বাজার এভাবেই চলে আসছে। দুই সপ্তাহ আগে ২০০-২১০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমে গতকাল ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে, সোনালি মুরগির দাম ৩০০-৩৩০ টাকা থেকে কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৯০-৩১০ টাকা দরে। মুরগির বাজারে দাম কমলেও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেনি।

প্রোটিনের সহজলভ্য উৎস হিসেবে পরিচিত এ ডিমের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজার ভেদে এক ডজন ফার্মের ডিমের দাম পড়ছে ১২৫-১৩০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে অবশ্য আরও একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কদমতলী এলাকার এক খুচরা বিক্রেতা জানান, চাহিদা আগের মতোই রয়েছে, কিন্তু সরবরাহ বেড়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে কিছুটা কমেই মুরগি কেনা যাচ্ছে। যার প্রভাব খুচরা দামেও পড়েছে।

আরও পড়ুন

রাজধানীর বাজারে নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউশাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক, ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে মাছের দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল আছে। পাঁচমিশালি মাছ ১৩০-১৪০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা, মাঝারি ও বড় ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মোটা চালের দামবৃদ্ধি কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ মোটা চাল নির্ভর। মনে রাখতে হবে চালের দাম বেড়ে গেলে সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। সুতরাং যে করেই হোক চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চাল-ডালসহ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে অবশ্যই আন্তরিকতা এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেননা, দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এর অভিঘাত যেমন অনেক তেমনি খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার সামাজিক প্রভাবও মারাত্মক।
বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন যত দিন না ঘটবে ততদিন চালসহ নিত্যপণ্যের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। তাই এই বাজার সিন্ডিকেট দ্রত ভেঙে দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া

লন্ডনে যাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া

সীমান্ত থেকে আরেক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ

দেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

রোনালদো-নেইমারের জন্মদিন আজ

‘বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আ’লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’