ভাঙচুর চলে জাসদ ও জাপা কার্যালয়েও
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বগুড়া জেলা আ’লীগ কার্যালয়
_original_1738859879.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িসহ শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানের বাড়ি ও স্থাপনা ভাঙচুর করা শুরু হয়েছে গত বুধবার রাতে। গভীর রাত পর্যন্ত চালানো হয়েছে ভাঙচুর। দেশের অন্যান্য স্থানের মত বগুড়াতেও বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে শুরু হয়েছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নিশানা গুড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম। সন্ধ্যায় বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নাম ফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম ভেঙে ফেলার মাধ্যমে বগুড়ার কর্মসূচির শুরু হয়। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি, শাবল নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১০ তলা ভবনের নিচতলায় লিফটের কাছে স্থাপিত নাম ফলক ভেঙে ফেলে। এক দল যুবক বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভবনের নিচতলায় ফলকটি ভেঙে ফেলে।
এর পরপরই বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা শহরের সাতমাথাস্থ বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর শুরু করে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আসবাবপত্র বের করে নিয়ে এসে আগুন দেয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বুলডোজার নিয়ে এসে আওয়ামী কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিল। পরে ছাত্র-জনতা জাসদ অফিসেও হামলা চালায়। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা জাসদ কার্যালয়ের বাইরে আগুনও ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ওপরে উঠে হাতুড়ি শাবল নিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করতে থাকে। পরে নিয়ে আসা হয় বুলডোজার। অনেকেই তাদেরকে উৎসাহ দেন। এরপর শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের জেলা জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়াও কার্যালয় থেকে আসবাবপত্র বের করে সামনের সড়কে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও জেলা সিপিবি, ছাত্র ও যুব ইউনিয়ন, টাউন ক্লাব একং জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ খান রনির ব্যক্তিগত অফিসও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনমন্তব্য করুন