রংপুরে এক মঞ্চে এক ডজন যৌতুকবিহীন বিয়ে

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরে একই মঞ্চে ১২টি যৌতুকবিহীন বিয়ে হয়েছে। আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নগরীর রুপকথা থিমপার্কে এই বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিয়ে অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে নীলফামারী ডিমলার বাবুরহাট এলাকার রাকিবুজ্জামানের সাথে ডিমলার দক্ষিণ তিতপাড়ার তাসনিমা জান্নাত তাসমি, একই পরিমাণ টাকা দেনমোহর আদায় করে মিঠাপুকুর রসুলপুর গ্রামের ফুয়াদ মিয়ার সাথে মিঠাপুকুর শুকুরেরহাট গেনারপাড় এলাকার হাওয়া বিবি, ২০ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ ধুবনী কঞ্চিবাড়ির আল মামুন মিয়ার সাথে সুন্দগঞ্জ বেলকার জুলি আক্তার, এক লাখ টাকা দেনমোহর আদায় করে নওগাঁ কয়াভবানীপুর এলাকায় মনিরুল ইসলামের সাথে একই এলাকার তানিয়া ইয়াসমিন বর্না, ১০ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরী রতনপুরের রুহুল প্রামাণিকের সাথে আঙ্গুরিয়া এলাকার কেয়া জান্নাতি একা, দেড় লাখ টাকা দেনমোহর আদায় করে দিনাজপুর পার্বতীপুর দোলাপাড়ার শামিম আখতারের সাথে পার্বতীপুর দূর্গাপুরের জহুরুন নেছা টুম্পা, ৬৫ হাজার ৫৯৯ টাকা দেনমোহর আদায় করে দিনাজপুর নবাবগঞ্জের ভেলপুকুরিয়া গ্রামের রাইদ সরকারের সাথে ফুলবাড়ি স্বজনপুকুর এলাকার মোবাশ্বিরা, ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে, ঢাকা মোহাম্মদপুরের জাহিদুল ইসলামের সাথে রাজশাহী মঙ্গলবাড়ি এলাকার সার্জিনা আক্তার, একই পরিমাণ টাকা দেনমোহর আদায় করে মিঠাপুকুর রসুলপুর গ্রামের ফাহিম মিয়ার সাথে মিঠাপুকুর জীবনপুরের নুসরাত জাহান আন্নিমনি, ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে সিরাজগঞ্জ বহুলা এলাকার সাব্বির হাসান রাব্বীর সাথে সিরাজগঞ্জ জানপুর এলাকার নাসরিন জাহান নিতু, ১০ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে পাগলাপীর কিশামত হরকলি তানজীর ইসলামের সাথে গঙ্গাচড়া বেতগাড়ি এলাকার মনিরা খাতুন সুইটি এবং ৫১ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করে দিনাজপুর বীরগঞ্জের সাতোর এলাকার শাহরিয়ার ইসলাম লিখনের সাথে কক্সবাজার ওয়াহেদের পাড়া গ্রামের শারমিন সুলতানার যৌতুকবিহিন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
‘যৌতুককে ঘৃণা করি, সহজলভ্যে মোহরানা আদায় করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে ১২ বিয়েকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন করে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। বর ও কনেদের সাজিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে কমিউনিটি সেন্টারে আনা হয়। সেখানে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন। এরপর বর ও কনের পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ান বগুড়া বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মুফতি মনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুনবিয়ে পড়ানোর শেষ বর-কনে তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করা হয়। সেই সাথে নতুন সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, গাছের চারা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। মোহরানা পরিশোধ করে যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ১২ জোড়া দম্পতিকে কক্সবাজারে মধুচন্দ্রিমার ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি।
আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ বিয়েতে আমরা যাবতীয় খরচ বহন করেছি। আমাদের চাওয়া সমাজ থেকে যেন যৌতুক প্রথা উঠে যায়। সেই সাথে যাদের ওপর বিয়ে ফরজ হয়েছে তাদের ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক যেন বিয়ে হয়।
মন্তব্য করুন