ভিডিও শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশায় ঘোড়াঘাটের কৃষকরা

ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশায় ঘোড়াঘাটের কৃষকরা

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনে আশাবাদী কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা।

ভুট্টা চাষে খরচ কম, অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় গত বছরের মতো এবারও ভুট্টা চাষে কৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উপজেলার করতোয়া নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভুট্টাচাষের বিপ্লব ঘটিয়েছেন কৃষকরা। ভুট্টাচাষে বদলে গেছে এসব এলাকার মানুষের জীবন চিত্র।

করতোয়া নদীর দুইতীরে এক সময় দেখা যেত শুধুই রাশি রাশি বালু, সেখানে ফসল ফলানো ছিল কল্পনারও বাইরে। নদীতে ভিটে-বাড়িসহ ফসলি জমি হারানো মানুষের দুঃখ কষ্ট ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। চরের জমিতে ফসল ফলাতে না পেরে, তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কাটিয়েছে দিনের পর দিন। কিন্তু সেখানে আজ সবুজের সমাহার, ভুট্টা ক্ষেতে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায়, শুধু চরাঞ্চলেই নয়, ঘোড়াঘাটের সর্বত্র এখন চাষ হচ্ছে এই ভুট্টা। ভুট্টা চাষের মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে এ উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এক লাখ তিন হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন চরাঞ্চলের ৯ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৮ হাজার ৮০৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফসলের আবাদ করা হয়ে থাকে। এসব জমির বেশিরভাগ অংশেই চাষ হচ্ছে ভুট্টা। উপজেলার ভুট্টাচাষ শুরু হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় ২০০১ সালের দিকে। মাত্র এক হাজার হেক্টর জমি দিয়ে ভুট্টা চাষ শুরু হয়। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে এ মৌসুমে এক হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

বরাতিপুর গ্রামের কৃষক শাজাহান মিয়া বলেন, আমাদের এখানে ধানের চাষ বেশি। তবে ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার নতুন করে ভুট্টা চাষ শুরু করলাম। কৃষ্ণরামপুর, জয়রামপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধান চাষে খরচ বেশি লাভ কম হওয়ায় আমরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়েছি। তবে সার ও কীটনাশকের দাম যদি সহনীয় পর্যায়ে থাকতো তাহলে লাভ আরও বেশি হতো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, ভুট্টাসহ সব ধরনের ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরা যেন সহজে কৃষি উপকরণ পান। বিশেষ করে বীজ, সার ও তেলের জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপজেলার ভুট্টা চাষের মাধ্যমে কৃষকরা কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছেন। কৃষকরা এখন চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে খালু গ্রেফতার

বান্ধবীর সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন যুবক, গুলি করে দিল পোষ্য কুকুর!

লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে হোলির পিচকারি! 

চরিত্র হয়ে পর্দায় ফিরতে চান ফারিয়া

বাংলাদেশি মেয়েদের চাকরির আশ্বাসে ভারতে এনে পতিতাবৃত্তি করানো হতো

রমজানে ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি খাবার মুসাখখান