ভিডিও রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাউশি-নায়েমের ডিজির প্রত্যাহার দাবিতে আবারও শিক্ষা ভবন ঘেরাও

মাউশি-নায়েমের ডিজির প্রত্যাহার দাবিতে আবারও শিক্ষা ভবন ঘেরাও, ছবি: সংগৃহীত,

সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক পদে ড. জুলফিকার হায়দারকে প্রত্যাহারের দাবিতে আবারও শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর আব্দুল গনি রোডে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মূল ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বিক্ষোভ শুরু করেন।

এরপর শিক্ষকরা মূল ভবনের সামনে এসে ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের কর্মসূচি ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষকদের দাবি, মহাপরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে এখনো স্বপদে বল রেখেছে। অবিলম্বে তাকে ডিজি পদ থেকে প্রত্যাহার না করলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। একইসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক পদে ড. জুলফিকার হায়দারকে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।

আরও পড়ুন

শিক্ষকরা দাবি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হককে প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান শিক্ষাসচিব আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন শুরু করেছে। অবিলম্বে মাউশির মহাপরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে।

আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়ে বলেন, মাউশির ডিজি পদে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তার হাত ধরেই বরিশাল বিএম কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পান অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক। আওয়ামী বলয়ের প্রভাবশালী অধ্যক্ষ হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিস্তর অভিযোগে ৫ আগস্টের পরে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন, আলটিমেটাম এবং শিক্ষা সচিবের লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরই তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ অনুচর ও বিতর্কিত শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তা কীভাবে মাউশির ডিজি পদে আসীন হয় তা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটসহ শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের কারো বোধগম্য নয়।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে ১০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে তাদের প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ করছে পুলিশ কনস্টেবল

বগুড়া ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচি

বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে মারা গেল যুবক

বগুড়ার মৌমাছি খেলাঘর আসর বগুড়ার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপনের কাজ মাঝপথে ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও 

ডুবে যাওয়া ‘নৌকা’ আর কখনোই ভাসবে না: হাসনাত