বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় কমিউনিটি ভিত্তিক
পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপনের কাজ মাঝপথে ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও
![](https://dailykaratoa.com/public/images/2025-02/Caption news Karatoa (6)_original_1739632895.jpg)
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপন কাজ মাঝপথে ফেলে রেখে ঠিকাদার চলে গেছেন। ফলে ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপন কাজের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ঢাকা ১৫ পুরাতন পল্টন চৌধুরী কমপ্লেক্সের আমান এন্ড কেয়া ট্রেডার্স প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিট স্থাপনের জন্য ঠিকাদার নির্বাচিত হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচিত ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করে। প্রকল্পটির কাজ ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। নির্বাচিত ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরুও করেন। এরমধ্যে ৮টি ইউনিট দেবড়াশন, আলতাফনগর, চৌমুহনী বাজার, আমষট্ট, শেরপুর, কেউৎ ও বাজারদীঘি এলাকার ইউনিটগুলোর বোরিংসহ কয়েকটির স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করা হয়। প্রকল্পটির চলতি বিল উত্তোলন করে প্রায় ৮ মাসযাবৎ ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ ফেলে রেখে চলে গেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এবিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, নির্বাচিত ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার জন্য কয়েকবার পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজের কোন অগ্রগতি নেই। উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তোষ্টি প্রকাশও করেন। মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্তও হয়। সভার সিদ্ধান্তের বিষয়টিও নির্বাচিত ঠিকাদারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনবগুড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, মাঝপথে প্রকল্পটির কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার চলে গেছেন। বার বার তাকে প্রকল্পটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পত্র দিয়ে জানানো হলেও তিনি যোগাযোগ করছেন না। প্রকল্পটির নির্বাচিত ঠিকাদার কার্যাদেশ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন