রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রভাব

লাইফস্টাইল ডেস্ক : হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নীল আলোর সংস্পর্শে সবুজ আলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে মেলাটোনিন দমন করা হয় এবং সার্কাডিয়ান রিদম দ্বিগুণ স্থানান্তরিত হয়। স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়। মেলাটোনিন এক ধরনের হরমোন, যার অভাবে ঘুম আসে না এবং ঘুম আসতে দেরি হয়।বিশেষজ্ঞদের মতে এটি কেবল ঘুমকেই প্রভাবিত করে না বরং অনিদ্রাও সৃষ্টি করতে পারে, ঘন ঘন ঘুম থেকে ওঠা এবং সকালের ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
রাতে স্ক্রলিং চোখের ওপর প্রভাব ফেলে
এছাড়াও, রাতে ফোনে বেশি সময় ধরে স্ক্রলিং করলে শুধু ঘুমের ক্ষতি হয় না, চোখের ওপরও বেশ চাপ পড়ে। বিশেষ করে বিছানায় শুয়ে ফোন ব্যবহার করলে চোখে শুষ্কতা, জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘসময় স্ক্রিনের দিকে তাকানোর ফলে ‘টেক্সট নেক’ বা সার্ভিকাল স্ট্রেন এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডে ব্যথা সৃষ্টি করে।
রাতে স্ক্রলিং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
ঘুমানোর আগে রিল স্ক্রলিংয়ে ব্যস্ত থাকাকালীন মস্তিষ্ক ক্লান্ত হওয়ার পরিবর্তে সতর্ক অবস্থায় থাকে। এটি ডোপামিন এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে যা শিথিল করা কঠিন কড়া কঠিন। এর ফলে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, বিষণ্ণতা, মানসিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
এটি স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর প্রভাব ফেলে
ঘুমানোর আগে ইমোশনাল কন্টেন্ট বা নেতিবাচক খবর দেখলে তা স্ট্রেস হরমোনকে ট্রিগার করতে পারে। এর ফলে উদ্বেগ, দুঃখিত, চিন্তিত, বিরক্ত, হতাশ এবং এমনকি দুঃস্বপ্নেরও দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়া কঠিন যার ফলে বিষণ্ণতা বা অনিদ্রা হতে পারে।
আরও পড়ুনরাতে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ঘুমের মান খারাপ হয়ে যায়। যা মনোযোগ, ভুলে যাওয়া, প্রেরণার অভাব, বিভ্রান্তি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে।
ঘুমানোর আগে নিয়মিত রিল স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
এছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, স্মৃতিশক্তি দুর্বল, মনোযোগের সময় কমে যাওয়া, হৃদরোগ, বর্ধিত চাপ, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং স্থূলতা।
মন্তব্য করুন