চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশীদের যত রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক : ৮ বছরের বিরতি দিয়ে আজ আবার পর্দা উঠছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। পালাবদলের এই আসরে আছে বাংলাদেশও। ২০১৭ সালের সবশেষ আসরে সেমিফাইনাল খেলা বাংলাদেশ এবারের আসরের আগে প্রস্তুতি কিংবা ফর্ম– দুদিকেই খানিক পিছিয়ে। তবু আসর শুরুর আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুনিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি গড় কার? আচমকা এমন প্রশ্ন করলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র পাড়ভক্ত যিনি, তার উত্তরেও ভুল হওয়া সম্ভব। যদি প্রশ্ন করা হয়, আইসিসির এই ইভেন্টে বাংলাদেশের সেরা ফিল্ডার কে? কিংবা সবচেয়ে বেশি ডাক মেরেছেন কে? উত্তরগুলো হয়ত আপনাকে বেশ বিষ্মিতই করবে। সেইসঙ্গে এমন কিছু নামও পেতে পারেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটা আগামীকাল। প্রতিপক্ষ পরাশক্তি ভারত। তার আগে টুর্নামেন্টে টাইগারদের অতীতটা ঘুরে আসতে চাইলে খানিক বিষ্ময় প্রকাশ হয়ত করতেই হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের। এরপরেই সাকিব আল হাসানের। কিন্তু সবচেয়ে বেশি গড়? এই প্রশ্নের জন্য ফিরতে হবে ২০০৬ সালে। শাহরিয়ার নাফিস যেভাবে ৩ ইনিংসে করেছিলেন ১৬৬ রান। ছিল ১টা সেঞ্চুরি। সেবারে তার গড় ছিল ৮৩। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারই ৭৫ এর বেশি গড় রাখতে পারেননি গ্লোবাল এই ইভেন্টে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডাক এবং একমাত্র গোল্ডেন ডাকের রেকর্ড সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ৫ ইনিংসের মধ্যে ৩বারই ডাক ছিল তার। এত কম ইনিংসে ৩ ডাক নেই আর কারোরই।
আবার সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে এগিয়ে একজন বোলার। অবশ্য বোলিং অলরাউন্ডারও বলা যায় তাকে। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট বিবেচনায় শীর্ষ দুইয়ে মাশরাফিরই নাম। ২০০৬ সালে মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪ বলে করেছিলেন ৩০ রান। আবার ২০১৭ আসরে ভারতের বিপক্ষে ২৫ বলে করেছিলেন ৩০ রান। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মোহাম্মদ রফিক। দেশের বোলিংয়ে অনেক রেকর্ডই এই কিংবদন্তির দখলে। কিন্তু সেরা বোলিং ফিগার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। বিষ্ময়কর হলেও সত্য, ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১৩ রানে ৩ উইকেট এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার। ৩ উইকেট পাওয়া বাকি দুজনের একজন সাকিব আল হাসান। অন্যজন মোহাম্মদ আশরাফুল।
আশরাফুল মূলত ব্যাটার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং গড় আশরাফুলেরই। ৮.৬৬ গড়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন পার্টটাইমার এই স্পিনার।
ফিল্ডিংয়ে সেরার নামটা মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে সুপরিচিত মুস্তাফিজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিয়েছেন ৪ ক্যাচ। বিষ্ময়কর হলেও সত্য, তার ক্যাচ সংখ্যা মুশফিকুর রহিমের চেয়ে বেশি। উইকেটরক্ষক মুশফিকের আদতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্যাচ নেয়ারই রেকর্ড নেই। সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের মালিকও তিনি নন। গ্লোবাল এই ইভেন্টে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল করেছিলেন। ফিরে আসি শাহরিয়ার নাফিসের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা সেই ম্যাচটায়। আইসিসির এই ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছিল সেই ম্যাচে। বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে সবচেয়ে বেশি মোট ৭৪ রান এসেছিল নাফিসের ওই ইনিংসের সুবাদে। সেই ম্যাচেই ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তরুণ সাকিব আল হাসান। অথচ, এরপরে আর কখনোই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেট পাননি তিনি।
মন্তব্য করুন