ডাকাত বাবলুর স্বীকারোক্তি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নৌ-ডাকাতির ঘটনায় গাইবান্ধার ১৫ জন জড়িত

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌ-পথে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার বাবলু মিয়া দুই দিনের রিমান্ড শেষে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে। গত বুধবার কুড়িগ্রাম আদালতে হাজির করলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারি চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল খেয়াঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী এক যাত্রী বাদি হয়ে চিলমারী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গত সোমবার (গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বাবলু মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশের একটি যৌথ দল। পরে আদালতে সোপর্দ করে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। গ্রেফতার বাবলু মিয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ধুবনী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ব্রহ্মপুত্রের নৌ-পথ, ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদসহ নৌ-পথে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় বাবলু মিয়া সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও ডাকাতির একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইমতিয়াজ কবির বলেন, ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ডাকাত বাবলু। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধার কামারজানি এলাকা থেকে ডাকাতির ব্যবহৃত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাবলুর দলে ১৫ জন পেশাদার ডাকাত রয়েছে। এরা সবাই গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ এবং সাদুল্যাপুর এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। শুধু চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌ-পথে নয়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি-কামারজানি নৌ-পথেও ডাকাতি করেছে। বাবলুর সহযোগীদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন