ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে সহায়তা করতে গিয়ে অভিযোগের মুখে জবি ছাত্রদল আহবায়ক

জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ সেশনে এই ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থীকে জবি ছাত্রী হলে আবাসনের ব্যবস্থা করতে যাওয়ায় জবি ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান হিমেলকে নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা হলে ছাত্রদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায়।
২০শে ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ২২ শে ফেব্রুয়ারি জবি "এ" ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য আজ সন্ধ্যায় জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল জবি ছাত্রী হলে তাকে পৌঁছে দিতে যান।এমন সময় হলে অনস্থানরত শিক্ষার্থীরা তাকে গেইটে এবং ছাত্রদলের অন্যান্য সদস্যদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের মনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিমেল ভাই কয়েকজন কর্মী নিয়ে হলের গেটে আসেন। পরে তিনি মূল ফটকে নিরাপত্তা রক্ষীর সামনে আসেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে হলের আবাসিক ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।” হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেলিম বলেন, “হিমেল ভাই পরীক্ষার্থী মেয়েটিকে হলে দিতে এসেছিলেন। তবে ছেলেদের হলের ভেতরে প্রবেশের কোনো অনুমতি নেই। বাইরে ৭-৮ জন অপেক্ষায় ছিলেন।”
আরও পড়ুনএ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ -২৫ সেশনে "এ" ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থী এসেছিলেন, যিনি আমাদের একজনের পরিচিত। পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করাই আমাদদের মূল লক্ষ্য। তার থাকার জায়গার সমস্যা হওয়ায় আমরা তাকে হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে গিয়েছিলাম। এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমি গার্ডের রুম পর্যন্ত গেছিলাম উনার সাথে কথা বলে তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার সাথে ছাত্রদলের অন্যরা সবাই গেটের বাইরে ছিলো।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বলেন, “ছাত্রী হলে ছেলেদের প্রবেশের কোনো অনুমতি নেই। নিয়ম ভঙ্গ করে হলে প্রবেশ করা অনভিপ্রেত। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন