বিচারের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে চলমান ফৌজদারি মামলার প্রথম শুনানিতে হাজির হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। গতকাল বৃহস্পতিবার সিউলের একটি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। দেশটির ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেন ইউন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, সিউল ডিটেনশন সেন্টারে অবরুদ্ধ ইউনকে আদালতে নিয়ে আসতে বিচার মন্ত্রণালয়ের গাড়ি অবস্থান করছে। আদালতের বাইরে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্বরত ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ইউনকে গত ৩ ডিসেম্বর অভিযুক্ত করেন সরকারি কৌঁসুলিরা। সিউল ডিটেনশন সেন্টার থেকে বিচার মন্ত্রণালয়ের গাড়িবহরে করে ইউনকে আদালতে আনা হয়।
আদালতের বাইরে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি মোতায়েন ছিল। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। তবে ইউনের আইনজীবীরা বলেছেন, রেকর্ড পর্যালোচনার জন্য তাদের আরো সময় প্রয়োজন।
এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সামরিক আইনের ডিক্রির জন্য ইউনের বেশ কয়েক বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
এই ঘটনায় এরই মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে অভিশংসিত করা হয়েছে এবং জড়িত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুন হিউং-বে বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে। ওই দিন ইউন ও আদালত চূড়ান্ত মতামত দেবেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে, আল-জাজিরা, রয়টার্স
মন্তব্য করুন