ভিডিও শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এখনকার প্রজন্ম ‘খিচুড়ি’ ভাষার মধ্যে বড় হয়েছে : পরমব্রত

সংগৃহিত,এখনকার প্রজন্ম ‘খিচুড়ি’ ভাষার মধ্যে বড় হয়েছে : পরমব্রত

বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ ছাড়াও ওপার বাংলাতেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশেষ এই দিনটি ঘিরে সেখানকার বাংলাভাষী তারকারাও সরব। এবার মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় গণমাধ্যমে নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন টালিউড অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জি। প্রকাশ করলেন নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা, সঙ্গে করলেন খানিকটা আক্ষেপও।

বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটাই সংকটে পড়েছে বাংলা ভাষা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরমব্রত। অভিনেতার কথায়, ‘মাতৃভাষা দিবসে বারবার প্রশ্ন ওঠে বাংলা ভাষা সংকটে কি না? আমি বলব, প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই কিন্তু সংকটে। আসলে প্রযুক্তির অগ্রগতি হচ্ছে। হাতের কাছেই রয়েছে নানা মাধ্যম। এর প্রভাবে একাধিক ভাষা মিলিয়ে মিশিয়ে কথা বলার প্রবণতা বেড়েছে। এর ফলে প্রায় সব ভাষাই এখন সংকটে।’

পরমব্রত বলেন, ‘মাতৃভাষা নিয়ে একটা দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে আমার। মাতৃভাষা সঠিক ভাবে বলতে না পারলে অন্য কোনো ভাষাই শেখা সম্ভব নয়। তবে বাংলা ভাষার সামনে বিরাট সংকট, এমনটাও আমি মনে করি না। কেউই আর বাংলা ভাষা শিখছে না, এমনও নয়। যদিও এটা সত্যি, আমাদের প্রজন্মের পরে অর্থাৎ ৯০-এর দশকে বা ৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে যারা জন্মেছে, তারা প্রবল ভাবে ‘খিচুড়ি’ ভাষার মধ্যে বড় হয়েছে।’

অভিনেতা বলেন, ‘ইন্টারনেটের যুগে নানা ধরনের ভাষার প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি। যার ফলে মনে হয়, সব ভাষাই এখন সংকটে। অন্তর্জালে হয়ত অন্য ধরনের ভাষায় কথা বলায় স্বচ্ছন্দ মানুষ। কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে বা সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে ভাষার সঠিক প্রয়োগ জরুরি। তার মানে এই নয়, সাধু ভাষায় লিখতে হবে। চলিত বাংলা ভাষায় লিখলেও, সেটায় যেন যত্ন থাকে। সেটা যেন অন্তর্জালের ভাষা না হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন

নিজের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘জাতিকে চিহ্নিত করার সবচেয়ে বড় নির্ধারক হল ভাষা। নিজের মাতৃভাষাটা তাই জানা জরুরি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থাকলে আমি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হিন্দি ও ইংরেজিতে কথা বলি। কিন্তু নিজের ভাষাটাও আমি জানি।’

ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে পরমব্রত বলেন, ‘প্রত্যেক বাবা-মায়েরই নতুন প্রজন্মকে মাতৃভাষা শেখানো উচিত। বাঙালি বাবা-মা হিসেবে আমি ও পিয়া অবশ্যই চেষ্টা করব, প্রথম দিন থেকে যাতে বাংলা ভাষার সঙ্গে আমাদের সন্তানের যোগ তৈরি হয়। অবশ্যই সারা বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার ভাষাও সে শিখবে।

যেমন আমি বা পিয়া শিখেছি। কিছুটা গর্ব করেই বলি, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। কিন্তু তার মানে কি, বাংলা ভাষাটা কম জানি? তা তো নয়। চেষ্টা করব, আমাদের সন্তানও যেন ভাষাজ্ঞানে এই ভারসাম্যটা বজায় রাখতে পারে

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্পেসএক্স স্টারলিংকের ২৩টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান

‘বাংলাদেশ ও ভারতকে হারিয়ে সেমিতে যাবে পাকিস্তান’

গোপনে বিয়ে সারলেন নারগিস ফাখরি

শেষ হলো চরমোনাই দরবারের মাহফিল

সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফের প্রতি বিজিবির আহ্বান