চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, তিন দিন পর মামলা

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার তিন দিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাত আট থেকে ৯ জন আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাদি নিজে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলাটি (নং-১৭, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন) করেছেন বলে জানিয়েছেন মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন।
গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
যাত্রীদের ভাষ্য, রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত তিনটা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়।
আরও পড়ুনএরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তারা বলেন, গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।
ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।
নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালত সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম থানার এসআই শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চালানমূলে ঢাকা-রাজশাহী চলাচলকারী ইউনিক রোড রয়েলস বাসের চালক বাবলু ইসলাম (৩৫), চালকের সহকারী সুমন ইসলাম (৩৫) ও সুপারভাইজার মাহবুব আলমকে (৩৮) বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের সামনে হাজির করলে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন