ভিডিও শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

মুন্সীগঞ্জে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে এক গৃহবধূ (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত রবিবার পদ্মা নদীর ডোমারখালী চরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পদ্মা সেতু উত্তর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইয়ামিন মুন্সী (১৯), জামাল মোল্লা (২৩) ও জব্বার শেখকে (১৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে ওই নারীকে তার শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরের চরজানাত পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে পদ্মার নির্জন চরে নিয়ে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরের চরজানাত গ্রামে। গত রবিবার ভুক্তভোগী ওই নারী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটের ট্রলার ঘাটে আসেন। সেখানে তিনি ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় ওই নারীর স্বামীর পরিচিত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা ট্রলার ঘাটে আসে। সিদ্দিকরা ওই নারীকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের পরিচালিত ট্রলারে উঠতে বলে। সিদ্দিক ওই নারীর পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে তিনি ট্রলারে ওঠেন। সে সময় অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বার নামে আরও দুজন ট্রলারে ওঠে।

সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে ট্রলারটি পদ্মা নদীর ডোমারখালী চরে পৌঁছালে নির্জনতার সুযোগে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে একে একে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন

পরবর্তীতে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্ট গার্ড স্টেশনের পাশে ভিকটিমকে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

গত সোমবার ওই নারী তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে। মঙ্গলবার চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো পলাতক রয়েছে সিদ্দিক।

গ্রেফতারকৃত ওই তিন যুবককে বৃহস্পতিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের আদালতে তোলা হলে তারা দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত তিনজনই বৃহস্পতিবার আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং আলামত হিসেবে একটি জিও ব্যাগ ও ওই নারীর পরিহিত কাপড় জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। সেই সঙ্গে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বাংলাদেশ ও ভারতকে হারিয়ে সেমিতে যাবে পাকিস্তান’

গোপনে বিয়ে সারলেন নারগিস ফাখরি

শেষ হলো চরমোনাই দরবারের মাহফিল

সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফের প্রতি বিজিবির আহ্বান

নিজ ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও চর্চা একটি জাতির পরিচয় ও সংস্কৃতির ভিত্তি গড়ে তোলে-পুলিশ সুপার, বগুড়া

নওগাঁর মান্দায় সালিসে মারধরে আহত ৩, আটক ২