জিম্মির বদলে অন্য নারীর মরদেহ পাঠানো হয়েছে, দাবি ইসরায়েলের
_original_1740136391.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতকাল বৃহস্পতিবার দখলদার ইসরায়েলের চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এরমধ্যে ছিল সিরি বিবাস নামের এক নারী, তার দুই শিশু সন্তান এরিয়েল বিবাস ও কাফির বিবাস এবং ওদেদ লিফতসিজ নামের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদেহ।
তবে দখলদার ইসরায়েল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দাবি করেছে সিরি বিবাসের মরদেহ না পাঠিয়ে গাজার এক নারীর মরদেহ পাঠিয়েছে হামাস। এটিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। তবে হামাস এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ ব্যাপারে বলেছেন, “হামাসের বর্বরতা কোনো সীমা মানে না। তারা শুধুমাত্র বাবা ইয়ার্দেন বিবাস, সিরি ও তার দুই শিশু সন্তানকে অপহরণ করেনি। তারা এই শিশুদের সঙ্গে তাদের মায়ের মরদেহ ফেরত দেয়নি। হামাস কফিনে গাজার এক নারীর মরদেহ পাঠিয়েছে।” নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, এই জিম্মিদের হামাস হত্যা করেছে। তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরেই হামাস জানায়, তাদের বিমান বাহিনীর হামলায় সিরি বিবাস ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনগতকাল গাজা থেকে জিম্মিদের মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর সেগুলো আবু কারিম ফরেনসিক সেন্টারে নিয়ে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনার। এরপর সেগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, সিরি বিবাসের নামে যে নারীর মরদেহ পাঠানো হয়েছে, সেটির সঙ্গে ডিএনএর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া অন্য কোনো জিম্মির ডিএনএর সঙ্গেও এই মরদেহের ডিএনএ মেলেনি। এ কারণে তারা দাবি করছে, হামাস গাজার কোনো এক নারীর মরদেহ দিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
মন্তব্য করুন