নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:০৯ বিকাল
পাতাল রেলে ২৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর!

২৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর!
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। ২০২৬ সালে এটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে তিন রুটে চলাচল করবে এমআরটি লাইন-১ বা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল। ২০২৬ সালে এটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চালু হলে প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেল প্রতিবার ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে পারবে।
এছাড়াও ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল ও ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এতে দৈনিক আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড। দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার।
উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কমবেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। তবে কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় ওপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা সড়কের স্তর থেকে ১৪ দশমিক ১ মিটার থেকে ১৮ দশমিক ৩ মিটার রাখা হয়েছে। প্রতিটি মেট্রোরেলে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রোরেল চলাচল করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১–এর পাতাল রেলের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং উড়াল মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
পাতাল রেল চালু হলে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে। যানজট অনেক কমবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘণ্টা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।
মন্তব্য করুন