মালয়েশিয়ায় ৮৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। শনিবার ভোরের দিকে দেশটির ক্লাং এলাকার মেরু মার্কেট ভবনে অভিযান চালিয়ে ৮৫ বাংলাদেশিসহ অন্তত ৫৯৮ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফ্রি এমবোক তাহা বলেছেন, ভোর সাড়ে ৫ টায় শুরু হওয়া এই অভিযানে সন্দেহভাজন ৬৩০ অভিবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে থেকে ৫৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ১৭ থেকে ৫৭ বছর।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশনারের (ইউএনএইসসিআর) কার্ডধারী বলে দাবি করেছেন। তবে তারা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য এই দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামা বলেছে, অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৫৩০ জন মিয়ানমারের, ৮৫ জন বাংলাদেশের, সাতজন ইন্দোনেশিয়ার, পাঁচজন ভারতের ও একজন নেপালের নাগরিক। বিস্তারিত তদন্ত এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার অভিবাসীদের দেশটির সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈধ নথিপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষের পর অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান, ভিসার শর্ত মানতে ব্যর্থ হওয়া, ভুয়া পরিচয়পত্রের ব্যবহার এবং অভিবাসন আইনের অন্যান্য শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে শেষ হওয়া এই অভিযানে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ, জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), এমবিডিকে এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের (জেপিএন) মোট ১৫৩ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
জাফ্রি বলেছেন, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কিছু অভিবাসী ‘‘গেরিলা কৌশল’’ ব্যবহার করেছিলেন।
সূত্র: বারনামা।
মন্তব্য করুন