ফাল্গুনের হঠাৎ বৃষ্টিতে সিক্ত বগুড়ার প্রকৃতি

স্টাফ রিপোর্টার : ঋতুচক্রে শীতকাল চলে গেলেও এখনো রয়েছে শীতের আমেজ। আর শীতে আমেজ কাটতে না কাটতেই ফাল্গুনের বৃষ্টিতে সিক্ত হলো বগুড়ার মাঠ-ঘাট ও প্রকৃতি। শীতকালের পর গত কয়েক দিন ধরে ভোরেই সূর্যের দেখা মিললেও আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রোদের দেখা মেলেনি। আকাশে মেঘের ঘনঘটা ও গর্জনে ৮টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। একটানা ও থেমে থেমে ১০টা ৫০ মিনিটি পর্যন্ত বৃষ্টি হয় ১৮ মিলিমিটার। করতোয়া’কে এমনটাই জানিয়েছে বগুড়ার আবহাওয়া অফিস। এসময় হালকা ঝড়ো বাতাসও বয়ে যায় প্রকৃতিজুড়ে।
হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন অনেকেই। কাজের উদ্দেশে বের হওয়া অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজেছেন। বাধ্য হয়ে অনেকে ফিরে গেছেন বাড়িতে। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে অনেক অঞ্চলের কাঁচারাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আবার ধুলোবালি কমে স্বস্তিও ফেরে জনমনে। এই বৃষ্টিতে শীতের রুক্ষ প্রকৃতি যেন ফিরে পেয়েছে নতুন ছন্দ। কৃষকরা সাধারণত এমন বৃষ্টি প্রত্যাশা করে থাকেন মাঘ মাসে।
আরও পড়ুনযদিও এবার মাঘ মাসে দেখা মেলেনি সেই কাঙ্খিত বৃষ্টির। তবে ফাল্গুন মাসের শুরুর এই বৃষ্টি ফসলের জন্য খুব উপকারী। তাই সাতসকালেই মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির স্পর্শে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। ফাল্গুনের এই বৃষ্টিতে কৃষকের মাঠে থাকা ফসলের বেশিরভাগই সেচের সুবিধা পেয়েছে। বিশেষ করে এই বৃষ্টিতে আম-লিচুর গাছের গোড়ায় একটা সেচ হয়ে গেছে। পাতায় পাতায় জমে থাকা ধুলোবালি ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গাছে ভালোভাবে সালোকসংশ্লেষণ হবে। বৃষ্টির কারণে গাছগুলো নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান করতোয়া’কে বলেন, এই বৃষ্টি ফসলের জন্য উপকারী। আলু ও সরিষার আবাদ বেশিরভাগ কৃষক ঘরে তুলেছেন। যেসব আলু এখনও মাঠে আছে পানি জমে না থাকলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। কৃষকের জমিতে থাকা ভুট্টা, গম, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসলের বেশ উপকারে আসবে এই বৃষ্টি। এছাড়াও আম-লিচুর মুকুলের জন্য এই বৃষ্টি বেশ উপকারী।
মন্তব্য করুন