৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভূক্ত না হওয়ায়
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৯০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের শর্তাবলী পূরণ করার পরেও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় ৯০ জন শিক্ষক-কর্মচারী বছরের পর বছর ধরে সরকারি বেতনের অংশ না পেয়ে চাকরি করে আসছেন। ফলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ উপজেলায় বর্তমান ৮াট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি অংশের বেতন ভাতা প্রাপিÍ থেকে বঞ্চিত। এদের মধ্যে আটিদাশড়া মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬ জন, ইটাখোলা বিএম কলেজ শাখায় ১১ জন, আকলাস-শিবপুর-শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি শাখায় ৪ জন, মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি শাখায় ৫ জন, সড়াইল মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ১৯ জন, কাপাসটিকরি দাখিল মাদ্রাসায় ১৭ জনসহ মোট ৯০ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতনের সরকারি অংশ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলা সড়াইল দাখিল মাদ্রাসার সুপার আজমল হোসেন বলেন, ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল মোত্তালেব হোসেন মাদ্রাসাটি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এক বুক আশা আকাঙ্খা নিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় শূন্য হাতে অবসর গ্রহণ করতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই মাদ্রাসার কর্মরত শাহিনুর রহমান দুখু, আফজাল হোসেন চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
আটিদাশড়া মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্তির আশায় প্রায় ২৫ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে কর্মরত আছি। বেতন না পেলেও বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কর্মরত থেকে শিক্ষার্থীদের মায়ায় অন্যত্র চলে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্ত হবে এমন আশা নিয়ে এখন ও পাঠদান সহ দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুনজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, এ উপজেলায় ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯০ জন শিক্ষক কর্মচারী-সরকারি অংশের বেতন ভাতা এবং এমপিও ভূক্ত হয়নি। এটি জাতীয় সমস্যা। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুনগত মান এবং পাশের হার সন্তোষজনক।
সরকার কখনো নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এমপিও ভূক্তির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আশা করি এই উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো এবং শিক্ষার গুণগত মানসহ অন্যান্য বিষয়সমূহ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পর্যায় ক্রমে এমপিওভূক্ত করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন