অনেকদিন পর দেখা হলো আনোয়ারা-রাশেদা’র
_original_1740670736.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ বাংলাদেশের সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দীর্ঘদিন দেখা হয়না চলচ্চিত্রের আরেক গুনী অভিনেত্রী রাশেদা চৌধুরী। দুজনই মূলত মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেই দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। আনোয়ারা ঢাকার বনশ্রী’তে বসবাস করেন তার মেয়ে চিত্রনায়িকা মুক্তির সঙ্গেই।
অন্যদিকে রাশেদা চৌধুরী ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন তাদের একসঙ্গে দেখা হয়না, কারণ এখন আর আগের মতো সিনেমাতেও তাদের কাজ করা হয়ে উঠেনা। আনোয়ারা দীর্ঘদিন সিনেমাতে কাজ করছেন না। স্ট্রোক করার পর মূলত তার মেয়ে মুক্তির পরম সেবা’তেই এখন অনেকটাই সুস্থ। যে কারণে আনোয়ারা এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারছেন। কিছুদিন আগেও আনোয়ারা ‘ট্র্যাব’ অ্যাওয়ার্ড ও ‘বাবিসাস’ অ্যাওয়ার্ড-এ ‘আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। পেয়েছেন বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
অন্যদিকে রাশেদা চৌধুরীর মনে একটা আক্ষেপ রয়েই গেলো অনেক ভালো ভালো সিনেমাতে খুব ভালো চরিত্রে অভিনয় করেও আজ অবধি তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই পাওয়া হলোনা। দু’দিন আগেই মনের অনেক কথা শেয়ার করতেই রাশেদা চৌধুরী তার নিজের হাতে রান্না করে আনোয়ারার কাছে যেন সময় কাটাতে। রাশেদাকে দেখেও ভীষণ খুশী হন আনোয়ারা। আনোয়ারা বলেন,‘ রাশেদাকে দেখে একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিলো আমাদের সেই ফেলে আসা সোনালী দিনগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেলো। তারপরেও রাশেদাকে দেখে খুব খুশী হয়েছি। তার পরম আন্তরিকতায় আগেও মুগ্ধ হয়েছি, আবারো শ্রদ্ধা ভালোবাসায় মনে শান্তি দিয়ে গেলো।
আরও পড়ুনরাশেদা চৌধুরী বলেন,‘ শ্রদ্ধেয় আনোয়ারা আপা আমাদের সিনেমার গর্ব, জীবন্ত কিংবদন্তী তিনি। কয়েকদিন আগে মুক্তি বলেছিলো বাসায় যেতে। কিন্তু তখন আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। তাই সময় করে আনু আপাকে দেখতে গেলাম। আমাকে দেখে খুব খুশী হয়েছেন তিনি। তিনি আমাকে খুব আদর করেন, স্নেহ করেন। আমার সৌভাগ্য যে আমি তার সঙ্গে গরীবের বউ’,‘ দুই বধূ এক স্বামী, জমিদার’সহ আরো কয়েকটি সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি তারসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছি। এমন সৌভাগ্য সবার হয়না। ধন্যবাদ মুক্তিকে এই সুন্দর আয়োজন করার জন্য। আপনু আপা, মুক্তি ও তার সন্তানের জন্য অনেক অনেক দোয়া।’
উল্লেখ্য, রাশেদা চৌধুরী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিলো মির্জা সাখাওয়াতের ‘ভাঙ্গন’ এই সিনেমাকে ঘিরেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে তার প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু হলো না। এছাড়াও এর আগে মুক্তি প্রাপ্ত ‘বিচ্ছু বাহিনী’,‘ ক্ষুদে যোদ্ধা’,‘ ম্যাডাম ফুলি’,‘ বিদ্রোহী সালাহউদ্দিন’, ‘স্বপ্নের বাসর’সহ কাজী হায়াতের কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেও এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তার প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু হলোনা। এখনতো সিনেমাতেই কম অভিনয় করছেন। এ জীবনে আর প্রত্যাশা নেই তার এই পুরস্কার প্রাপ্তির।
মন্তব্য করুন