আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা
_original_1740741111.jpg)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে নিখোঁজের তিনদিন পর পুকুর থেকে ফাতেমা আক্তার নামের এক ছয় বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শিশু ফাতেমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
শিশু নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাব্বির খানের (২৫) স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজদিখান থানা-পুলিশ। রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া গ্রামের ব্যাঙ্গ দিঘী নামক পুকুরের কচুরিপানার নিচে ছিল ফাতেমার মরদেহ।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফাতেমা নিখোঁজের পর তার মা বুধবার থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাব্বির খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সংবাদ পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে সাব্বিরের বাড়িতে ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
শিশু ফাতেমা উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং রশুনিয়া মাহমুদিয়া নুরানীয়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
আরও পড়ুনএর আগে, গত মঙ্গলবার উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিলে এসে ফাতেমা আক্তার নামে ওই ছয় বছরের শিশু নিখোঁজ হয়।
ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আইসক্রিম বিক্রি করার জন্য বসে ওই ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের নাহিদ খানের ছেলে সাব্বির খান (২৫)। তাকে শিশু ফাতেমাকে ফ্রিতে আইসক্রিম খাওয়াতে দেখে এলাকাবাসী।
ফাতেমা নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বুধবার দুপুরে সন্দেহজনকভাবে আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির খানকে আটক করে সিরাজদিখান থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বুধবার ফাতেমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। মামলায় সাব্বিরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহেদ আল মামুন বলেন, ‘শিশু ফাতেমাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় পাশের একটি ডোবায়। ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন