‘চিরকুটে লেখা মা ক্ষমা করো’
বগুড়ায় বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নার্সিং কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের জহুরুল নগরে পাঁচতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে অপর্ণা পর্নশ্রী চক্রবর্তী (২২) নামে নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর লিখে যাওয়া একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে লেখা আছে ‘মা ক্ষমা করো’ এই পৃথীবী থেকে আসি চলে যাচ্ছি আমি, পরপারে তোমার সাথে দেখা হবে। ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ভাইকে বলো, চার বছর ধরে আমি পড়াশোনার চেষ্টা করেছি’।
নিহত অর্পণা জহুরুল নগর হাফিজার মোড় এস ইউ ঠাকুরবাড়ি এলাকার হিমাংশু চক্রবর্তীর মেয়ে ও নার্সিং কলেজ বগুড়া নামে বেসরকারি কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহাগ ফকির বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,অর্পিতা তাদের নিজের ৫ তলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই বাড়ির ৫ তলা বাড়ির ছাদটি রেলিং দিয়ে ঘেরা। তিনি একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর উঠে নিচে ঝাঁপ দেন বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১২ টার দিকে তিনি মারা যান।
উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো: জালাল উদ্দিন জানান, অর্পিতার মরদেহ উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এরপর ময়না তদন্তশেষে তার মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মেয়েটির এক পায়ে সমস্যা ছিল। হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি বাসায় একটি চিরকুট লিখে যান। এতে লেখা আছে ‘মা ক্ষমা করো’ এই পৃথীবী থেকে আমি চলে যাচ্ছি, পরপারে তোমার সাথে দেখা হবে। ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ভাইকে বলো, চার বছর ধরে আমি পড়াশোনার চেষ্টা করেছি’। এ চিরকুট পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুনএদিকে,আত্মীয় স্বজন জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় অসাবধানতাবসত বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে যান অর্পিতা। তখন তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মন্তব্য করুন