রাজুতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ঘোষণা : জাবি ও রাবিতেও বিক্ষোভ

ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’ এ রকম বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের মা-বোনদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বলে দিতে চাই, আপনারা যদি আমার বোনদের ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে এই দেশের শাসনভার চালানোর অধিকার আপনারা হারিয়ে ফেলেছেন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও গত রাত পৌনে দুইটার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ‘২৪ এর বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাজুতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ঘোষণা, বিশেষ ট্রাইবুনালে ধর্ষণের বিচার দাবি
আরও পড়ুনমধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ শীর্ষক প্লাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন নারী শিক্ষার্থীরা। প্লাটফর্ম থেকে দুইটি দাবি জানিয়েছেন তারা। তা হলো- বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে বিগত সময়ের সব ধর্ষককে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করা। এই দুটি দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মঞ্চ থেকে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
শনিবার রাত ২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি এ ঘোষণা দেন। তারা আরও ঘোষণা দেন, সারাদেশে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে রোববার সন্ধ্যা সাতটায় মশাল মিছিল করবেন তারা।
রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, আজকের কর্মসূচি থেকে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ ঘোষণা করা হলো। যতক্ষণ পর্যন্ত মাগুরার ঘটনায় ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এর আগে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থীদের ঢল নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী হল থেকে ছাত্রীরা নেমে আসেন। রাত ১২টার দিকে কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে বের হন। এরপর পরে অন্যান্য নারী হলের শিক্ষার্থীরাও তাতে যুক্ত হন। তারা মিছিল নিয়ে হলপাড়াসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় ছাত্ররাও তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।
মন্তব্য করুন