ভিডিও সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

পাবনার বেড়ায় যমুনা নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ

পাবনার বেড়ায় যমুনা নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : যমুনা নদী ভাঙন বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বড় সমস্যা। এই নদী ভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ তার বসবাসের জায়গাসহ চাষের জমি হারাচ্ছে। পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদী ভাঙন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চরনাগদা, হাটাইল, আড়ালিয়া, চরসাড়াশিয়া নেওলাইপাড়া, মাছখালি, মরিচাপাড়া, রাকশা, নতুন বাটিয়াখড়া গ্রামের ১৫ বসতবাড়ি, ২৫ বিঘা ফসলি জমিসহ অসংখ্য গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

৯টি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। অসময়ে ভাঙন দেখা দেয়ায় নদী পাড়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া ও নতুন বাটিয়াখড়া গ্রামের মানুষের নদী ভাঙনে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলেন জানা যায়।

যমুনা নদী বাংলাদেশের বৃহত্তম নদীগুলোর মধ্যে একটি। নদীটি পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা বয়ে গেছে। বেড়া উপজেলার যমুনা নদী প্রতিনিয়ত ভাঙন সৃষ্টি করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করছে। এই এলাকার মানুষ প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। নদী ভাঙনের কারণে কৃষিজমি হারিয়ে তারা চরম বিপদে পড়েছেন।

বেড়া উপজেলার নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়ন এর দুটি গ্রামই কৃষি প্রধান হিসাবে পরিচিত। এখানকার বাসিন্দারা প্রধানত ধান, পাট, মিষ্টি আলু, সরিষা এবং অন্যান্য কৃষি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। যমুনা নদী প্রতিনিয়ত তার গতিপথ পরিবর্তন করছে, ফলে বড় আকারে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙনের কারণে মানুষ চাষের জমিসহ বাড়িঘর হারাচ্ছে এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া ও নতুন বাটিয়াখড়া গ্রামের ৫০০ মিটার অংশে ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। যমুনার ভাঙনে প্রায় ২৫ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন একেবারে গ্রামের কাছে এসে পড়েছে। পাকা বাড়িঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনের হুমকির মধ্যে পড়েছে।

আরও পড়ুন

নেওলাইপাড়া গ্রামের মুফতি শাহ আলম বলেন, আকস্মিকভাবে যমুনায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড ভাঙনে প্রায় প্রায় ২৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যে জমি কৃষকরা চাষাবাদ করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতেন তা এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ এলাকার মানুষের মধ্যে নদী ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবু দাউদ বলেন, লওলাইপাড়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, ২১ গ্রামের মানুষের একমাত্র লেওলাইপাড়া কবস্থানটিসহ ৯টি গ্রামের কয়েক হাজার বসতবাড়ি।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়া নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পাবনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে অবহিত করে কোন প্রতিকার মিলছে না। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগের প্রকৌশলী মো. হায়দার আলী বলেন, নদী ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো  হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে মাগুরার সেই শিশুটি

কেনার কথা বলে অস্ত্র ঠেকিয়ে ৮৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি ছিনতাই

আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ নামলো ২০ বিলিয়নের নিচে

ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে ঢাবিতে মশাল মিছিল

আশুলিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, মালিক নিহত

জুলাই-আগস্টের হত্যাকান্ড