বগুড়ার সোনাতলায় চরাঞ্চলে টোপা আর শুকনো মরিচে সয়লাব

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলার চরাঞ্চলে এখন টোপা আর শুকনো মরিচে সয়লাব। এসব টোপা মরিচ শুকিয়ে শুকনো মরিচে রূপান্তর করতে কৃষক এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতি মণ শুকনো মরিচ সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার ৯১০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। গত বছর ছিল এক হাজার ১০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১শ’ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ কম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষকেরা ভুট্টা চাষে বেশি আগ্রহী হওয়ায় মরিচ চাষ তুলনামূলক কমেছে। ওই উপজেলার কৃষকেরা তিনটি হাইব্রিড জাতের মধ্যে সনিক, ১৭০১ ও বিজলী প্লাস এবং স্থানীয় উন্নত জাতের মরিচের চাষ করেছেন। এই উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা ও বাঙালিতে নদীতে বন্যার পর চরাঞ্চলে এবং অন্য জমিতে পলি জমায় প্রতিবছর সেইসব জমিতে বিঘা প্রতি প্রায় ১৫ মণ মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমণ টোপা মরিচ হাটে বাজারে ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা এবং শুকনো মরিচ সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক তাদের উৎপাদিত কাঁচামরিচ ও শুকনো মরিচ বাজারজাত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে খাবুলিয়া এলাকায় তুহিন মিয়া বলেন, এবার তিনি ৭ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন।
চর সরলিয়া চরের বাসিন্দা শামছুল হক বলেন, এবার তিনি ১২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এতে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেছেন।
খাটিয়ামারী এলাকার সায়েদ জামান বলেন, এবার তিনি ৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ বপণ করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা মরিচ বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, চলতি বছর প্রতি বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ ৭০ থেকে ৭৩ মণ উৎপন্ন হয়েছে। স্থানীয় জাতের মরিচ ৪৫ থেকে ৫০ মণ উৎপন্ন হয়েছে। এবার মরিচের দাম বেশ ভালো থাকায় কৃষক খুশি।
মন্তব্য করুন