ভিডিও শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

ঈদ ঘিরে জমজমাট ভ্রাম্যমাণ ভ্যান মার্কেট, পণ্য কিনতে হবে দেখে-শুনে করতে হবে দর কষাকষি

ঈদ ঘিরে জমজমাট ভ্রাম্যমাণ ভ্যান মার্কেট, পণ্য কিনতে হবে দেখে-শুনে করতে হবে দর কষাকষি, ছবি: দৈনিক করতোয়া

স্টাফ রিপোর্টার : শহরের মার্কেট ও বিপণীবিতানের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। পাড়ায় পাড়ায়ও গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শো-রুম। বেশকিছু দিন আগেও শুধুমাত্র শীতের পোশাক ও ছেলেদের পোশাক বিক্রি হলেও সম্প্রতি বগুড়ার শহরের বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে কেনাকাটায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের কেনাবেচা। ঈদ ঘিরে সন্ধ্যার পর আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠেছে এই মার্কেটের বেচাকেনা। শহরের সাতমাথা থেকে রানার প্লাজার মাঝের রাস্তার দু’পাশ এবং শেরপুর রোডে, থানার মোড়ে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন পণ্যের প্রায় তিনশ’ দোকান  বসে। কী নেই এখানে? জামা-কাপড়, জুতা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, বেডকভার, মশারি, পর্দা, জুয়েলারি, ব্যাগ, কসমেটিকস, হস্তশিল্প, রান্নাঘরের খুঁটিনাটি, মোবাইল কাভার, চার্জার থেকে শুরু করে টয়লেট্রিজ পণ্য, সবজি, ফল, মুখরোচক খাদ্য প্রায় সব ধরণের সামগ্রীই কিনতে পাওয়া যায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগুলোতে।

ব্যস্ত শহরের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে এই ভ্যান মার্কেটের কেনাকাটা। এখানে অনেক ক্ষেত্রে সাধ আর সাধ্যের মধ্যেই কিনতে পাওয়া যায় হরেক পণ্য। আর এই পণ্যগুলো তারা কিনে আনেন ঢাকা ও সৈয়দপুর থেকে। ভ্যান মার্কেটে শীত মৌসুম তো বটেই ঈদ ঘিরেও জমজমাট হয়ে উঠেছে। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টি-শার্ট, লেগিংস, প্যান্ট, ক্রপ টপ, ট্যাং টপ, হাফপ্যান্ট, স্কার্ফ, কুর্তিসহ প্রায় পোশাকই পাওয়া যায় ভ্যানগুলোতে। তবে এসব জামাকাপড় কেনার আগে দাগ, ছেঁড়া, ফাটা ভালো করে দেখে নিতে হবে। অনেক ব্রান্ডের নামের পোশাকও বিক্রি হয় এসব মার্কেটে। ছোটদের ফ্রক, টপ, প্যান্ট-গেঞ্জির সেট পাবেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রতিটি প্যান্ট ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং শার্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। এসব দোকানে বিক্রেতারা প্রায় দ্বিগুণ দাম চেয়ে বসেন। এ জন্য কেনাকাটায় দর-কষাকষি করে কিনলে কম দামে ভালো মানের জিনিস কিনতে পারবেন।

শুধমাত্র পোশাক নয় ভ্যানের ওপর পাওয়া যায় কম দামে পছন্দসই নানা রকম ডিজাইনের জুতা ও স্যান্ডেল। দেশীয় নকশায় তৈরি এসব জুতার দাম ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। পাওয়া যায় পর্দা, বিছানার চাদর,পাপোশ, আরও পাওয়া যায় সিরামিকের জিনিসপত্র। থালা, বাটি, জগ, মগ, চামচ, পানির পাত্র, নেইল কাটার, কয়েল দানি, গাঘষা, আয়না-চিরুনি, ম্যানিব্যাগ সবই পাওয়া যায় ভ্যানের ওপর। এসব কিনতে পাবেন ৫০ টাকা থেকে ১২শ’ টাকার মধ্যে।

আরও পড়ুন

ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের ব্যবসায়ী সাগর আহম্মেদ বলেন, ব্যস্ত মানুষের সময় নেই, সময় বের করে মার্কেটে গিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার। তাই শহরের মূল কেন্দ্রে যখন তারা কোন না কোন কাজে আসেন তখন চলতি পথেই ভ্যানের ওপর তারা প্রয়োজনীয় পণ্যটি পেয়ে যান। তা তরকারি থেকে শুরু করে  নেইলকাটার কিম্বা মোবাইলের চার্জার হোক না কেন। এজন্য দিন শেষে ব্যবসা মোটামুটি ভালোই হয়।

সাতমাথায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের সামনে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আশরাফুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের বেতন বাড়েনি। কিন্তু জীবনযাত্রার মান বেড়ে গেছে। বেসরকারি চাকরি সবসময় ফিটফাট থাকতে হয়। তাই একটু কম দামে সব সময় এই মার্কেট থেকেই পোশাক কেনেন তিনি। ঈদ মার্কেটও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি নিজের এবং ছেলের জন্য টি শার্ট, গেঞ্জি ও পাজামা কিনলেন। বললেন, মার্কেটের চেয়ে দাম বেশ কম পাওয়া যায়। তবে এখান থেকে কিনলে দরদাম করতে হবে এবং দেখেশুনে কিনতে হবে। কারণ, পণ্য ফেরতের  নিশ্চয়তা  কম থাকে এসব দোকানে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরাইলের নিরাপত্তাপ্রধান রোনেন বার বরখাস্ত

ফিল্মফেয়ারে ‘তুফান’র গানে নাচলেন শুভশ্রী, ভিডিও 

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প

ঢাকাসহ ১০ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়

ইরিত্রিয়ার সাথে যুদ্ধ চায় না ইথিওপিয়া, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

রবিবার সংস্কার প্রস্তাবনা দেবে বিএনপি