সদরঘাট বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণে দুই গ্রুপের কোন্দল

জবি প্রতিবেদক: রাজধানীর সদরঘাট বাস টার্মিনালে আজমেরী গ্লোরী পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে কোন্দলসহ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আজমেরি গ্লোরী কোম্পানির পরিচালক রবিউল ইসলাম পরাগকে পুলিশের উপস্থিতিতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার (২২ মার্চ) ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় আজমেরী বাস থেকে চাঁদা তেলাকে কেন্দ্র করে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজমেরী গ্লোরী কোম্পানির পরিচালক রবিউল ইসলাম পরাগ বলেন, ‘আজমেরী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড ও গ্লোরী এক্সক্লুসিভ লিমিটেড যৌথভাবে আমাদের আজমেরী গ্লোরী কোম্পানী। আমরা সরকারিভাবে নিবন্ধিত। কিন্তু আজমেরী বাস মালিক সমিতি নামে অবৈধ একটি সমিতি খুলে আমাদের ব্যবসা দখল করতে চায়। মালিকানাধীন কোম্পানির সমিতি হয় কিভাবে। আজ আমরা রোডের আজমেরী বাস থেকে অনুমোদিত টাকা নেয়ার সময় কয়েকজন এসে আমদের আজমেরী বাসের স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে। তারা বাংলাবাজার পুলিশ ফাাঁড়িতে নাকি অভিযোগ করেছে বলে পুলিশ জানায়। আমরা বাস মালিকরা পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করা গোলাম জিলানী টিপু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সুমন সর্দার আমাদের ওপর হামলা করে মারধর করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাকে ফাঁড়িতে আটকে রাখে। অথচ তারা বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। আমাদের মালিকানাধীন কোম্পানী তারা সমিতি খুলে দখল নিতে চায়।’
বাস থেকে তোলা চাঁদা বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আরো বলেন, ‘আজমেরী গ্লোরী রোডে চালানোর জন্য আমাদের কোম্পানির অনেক স্টাফ আছে। তাদের বেতন দিতে হয়। এজন্য সব বাসের মালিক বসে রেজুলেশন করে প্রতিদিন আজমেরী বাস প্রতি ৩০০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার বাস চলতেও চাঁদা দিতে হয়।’
আরও পড়ুনএবিষয়ে আজমেরী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম জিলানী টিপু বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমাদের এই বাস মালিক সমিতি। আওয়ামী লীগের সময় আমাদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। আমাদের বাস চলেনি। আওয়ামী লীগ পতনের পর আমরা বাস মালিক সমিতি পুর্নগঠন করেছি। আমাদের বৈধ কাগজপত্র আছে। আজ আমরা বাসের টাকা তোলার সময় ওই গ্রুপ টাকা দাবি করে। এরপর আমরা বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করি। পরাগ নামে একজনকে আটকও করা হয়। আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
এদিকে মারধরের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সুমন সর্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। ঘটনার সাথে জড়িত নই।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল আমিন বলেন, ‘টিপু নামে আজমেরীর একজন আমাদের কাছে অভিযোগ করেন আজমেরী বাস নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তখন আমরা গিয়ে বিশৃঙ্খলা পায় নাই। দুই পক্ষ ফাঁড়িতে এসে তাদের কাগজ দেখিয়েছেন। তবে কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।’
মন্তব্য করুন