বগুড়ার কাহালুতে গভীর নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমার উদ্ধার, দুই চোরকে গণধোলাই

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার কাহালু উপজেলায় গ্রামবাসী কর্তৃক গভীর নলকূপের চুরি করা তিনটি ট্রান্সফরমার এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রী চুরির কাজে ব্যবহৃত ২৯ প্রকারের যন্ত্রপাতি উদ্ধারসহ দুই চোর আব্দুল হালিম (২৭) ও জিয়াউর রহমানকে (৪৩) হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শিতলাই গ্রামের মাঠে। আটক দুই চোরের মধ্যে চোর আব্দুল হালিমের বাড়ি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দেওগ্রাম দক্ষিণপাড়া। তার বাবার নাম মৃত একরাম হোসেন। অপর চোর জিয়াউর রহমান দুর্গাপুর বাজারের পাশে চক জগতপুর গ্রামের মৃত কমের উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, আটক দুই চোর আব্দুল হালিম ও জিয়াউর রহমানসহ তাদের আরও চারজন সহযোগীকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিতলাই গ্রামের পাশের মাঠে একটি গভীর নলকূপে লাগানো পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির তিনটি বৈদ্যুতিক টান্সফরমার চুরি করা জন্য খুঁটি থেকে নিচে নামায়। দৃশ্যটি দেখে গভীর নলকূপের পাহারাদার ও ড্রেনের লাইনম্যান ঘটনাটি শিতলাই গ্রামবাসীকে জানোনো মাত্রই গ্রামের লোকজন চারিদিক থেকে মাঠ ঘিরে ফেলেন।
আরও পড়ুনঅবস্থা বেগতিক দেখে চোরেরা মোবাইল ফোনে গ্রামের বেশ ক’জনকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে মাঠ থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু মানুষ চোরের হুমকির তোয়াক্কা না করে সারারাত জেগে তাদের ধরার জন্য পাহারা দেন। এসময় ছয় চোর মাঠ এবং গ্রামের মধ্যে আত্মগোপন করে। এরপর শনিবার ভোরে সূর্য উঠার সাথে সাথে গ্রামের মানুষ চারিদিকে তল্লাশি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে চোরাই তিনটি টান্সফরমার আর বৈদ্যুতিক সামগ্রী চুরির কাজে ব্যবহৃত ২৯ প্রকারের যন্ত্রপাতিসহ হালিম ও জিয়াউর গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে। তবে রাতের আঁধারে কঠিন পাহারা থাকা সত্ত্বেও গ্রামবাসীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্য চার চোর পালিয়ে যায়। আজ শনিবার (২২ মার্চ) সকালে গ্রামবাসী হালিম ও জিয়াউরকে গণধোলাই দিয়ে কাহালু থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চুরি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন