চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে উভয়েই হেরে যাবে : চীনা প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে এসে বাণিজ্যযুদ্ধে নেমেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসেই চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে চীনও। এমন অবস্থায় দুই পরাশক্তির শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। তিনি বলেছেন, চীন এবং আমেরিকা শান্তি স্থাপন করলে উভয় দেশই লাভবান হবে। এমনকি চীন এবং আমেরিকা যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার (২৩ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স এবং বেইজিংয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন। ইংরেজি ভাষার চায়না ডেইলি সংবাদপত্র অনুসারে লি বলেন, চীন এবং আমেরিকা যদি শান্তি স্থাপন করে, তাহলে আমরা উভয়েই লাভবান হব; যদি তারা যুদ্ধ করে, তাহলে আমরা উভয়েই হেরে যাব। সংঘর্ষের পরিবর্তে আমাদের সংলাপ এবং উইন-উইন সহযোগিতার মাধ্যমে লড়াই করা উচিত। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করবে চীন এবং আমেরিকা। চীনের এই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চীন সর্বদা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের কোম্পানিগুলোকে (চীনা ভূখণ্ডে) স্বাগত জানায় এবং তাদের বৈধ দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমানভাবে বিবেচনা এবং একটি সুস্থ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলবে চীন।
মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স বলেন, আমরা যখন চীনের দিকে তাকাই, তখন দেখি-১৯৯১ সালে চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা তারও কিছু বেশি ছিল। গত ৩৪ বছরে আমরা চীনের বৃদ্ধি এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ডেইন্সও অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও উচ্চ-স্তরের সংলাপের আশা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন এই সিনেটর এর আগে আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহীদের সাথে বেইজিংয়ে বার্ষিক চীন উন্নয়ন ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনচীনা অর্থনীতির সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অনেকেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন