ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

সাংবাদিকদের উপর বিআরটিসির কর্মকর্তাদের হামলা, এমআরএ'র মানববন্ধন

সাংবাদিকদের উপর বিআরটিসির হামলা, এমআরএ'র মানববন্ধন। ছবি : হোসাইন আহমাদ

বিআরটিসি মতিঝিল বাস ডিপোতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. ইলিয়াস ও শরিফুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমআরএ)। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিআরটিসি মতিঝিল বাস ডিপোর সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধন থেকে সংগঠনটির নেতারা পেশাগত নিরাপত্তাসহ চারটি দাবি জানান।

মানববন্ধনে ঢাকা মেইলের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন বলেন, আপনারা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ও দুর্বল ভাববেন না, আমরা বানের জলে ভেসে আসিনি যে আপনারা যখন তখন মারবেন, নাজেহাল করবেন। আমরা বিশ্বাস করি বিআরটিসির চেয়ারম্যান অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন। 

এমআরএ'র সদস্য অমৃত মলঙ্গী বলেন, আমার মনে হচ্ছে এর ভিতরে যে কর্মকর্তারা বসেন তাদের মনে কোনো একটা ভয় রয়েছে। এই ভয়টা আসলে কী? কেন তারা সাংবাদিকদের এত ভয় পায়? তারা কেন সাংবাদিকদের মোবাইল ক্যামেরাকে এত ভয় পায়, আমরা সেটা জানতে চাই এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এসময় এমআরএ'র সভাপতি ফখরুল ইসলাম চার দফা দাবি উত্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো-  
১. সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হামলার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
২. আহত সাংবাদিকদের সকল ধরনের ক্ষতিপূরণসহ বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন

এমআরএ'র দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইমুন মুবিন পল্লব, কার্যনির্বাহী সদস্য নাজমুলসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিআরটিসি’র প্রস্তুতি সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. ইলিয়াস ও শরিফুল ইসলামকে বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদীর সামনে মারধর করা হয়। মারধরে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এ সময় তাদের দুজনের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধরের ভিডিও ডিলিট করা হয়।

এছাড়া কেড়ে নেওয়া হয় তাদের অফিসের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, মাইক্রোফোন ও পাওয়ার ব্যাংক। উক্ত ঘটনায় বিআরটিসির ওমর ফারুক মেহেদী (ম্যানেজার অপারেশন), ইসরাত উম্মে সালমা (হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা), রাকিবুল আলম (সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মমিনুল (স্টোর ইনচার্জ), ইকবাল (সরদার)সহ অনেকেই জড়িত ছিল।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকচের প্রস্তাব গৃহীত 

বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস 

বগুড়ায় শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে ডিসি-এসপির সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে শাস্তি

যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত

সুনামগঞ্জ  দুই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় শাড়ি-ফুচকা জব্দ