ভিডিও বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বোরো ধান চাষে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বোরো ধান চাষে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। প্রতীকী ছবি

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : সেচযন্ত্রের জ্বালানি ডিজেল ও বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি বেড়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি। এতে করে বোরো ধান চাষে খরচও বাড়ছে। এবার গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বোরো ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে বাড়তি প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, বোরো চাষে খরচ বাড়ছে।

মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে, তাদের উৎপাদন খরচ উঠবে না। সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধান-চালের দাম বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাউসার ফাতামা জানান, চলতি মৌসুমে পলাশবাড়ীতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫৯ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত রোপণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৭৮ হেক্টর।

যা আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত রোপণ চলবে। সরেজমিনে পলাশবাড়ী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে আলু তুলে বোরো ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বোরো মৌসুমে এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বোরো উৎপাদনে খরচ ছিল প্রায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

আর এ বছর তা দাঁড়াবে ১৮ হাজারেরও বেশি। গত বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে সেচের খরচ ছিল ১ হাজার ৩০০ টাকা। এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি বীজ ছিল ২০০ টাকা, এবার তা হয়েছে ৩৫০ টাকা। এছাড়া সার খরচ ২ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। একই সাথে কীটনাশক ৬০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার টাকা, ধান রোপণের মজুরি ৪০০ থেকে বেড়ে ৫০০-৬০০ টাকা হয়েছে। উপরন্ত আরও অনেক খরচ রয়েছে।

আরও পড়ুন

পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার কৃষক বাবলু মিয়া বলেন, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এবার সেচ খরচ বেশি পড়ছে। এছাড়া বীজসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। পৌর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম  বলেন, খেয়ে না খেয়ে ধানের আবাদ করছি। এবার আবাদে খরচও বেশি হচ্ছে। ধান কাটার সময় দাম না পেলে, মরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। কৃষককে দেখার কেউ নেই।

কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, এ বছর প্রায় ছয় বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবছর বোরো ধান চাষাবাদে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। গত বছর প্রতি ঘণ্টায় সেচের পানি নিতে খরচ পড়তো ১০০-১১০ টাকা। এবছর তা বেড়ে হয়েছে ঘণ্টা প্রতি ১৫০-১৬০ টাকা।

এছাড়া সার কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে, কীটনাশক ও বীজের দামও বেড়েছে। পলাশবাড়ী কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু বলেন, বোরো চাষে অতিরিক্ত সেচ লাগে। খরচ কমাতে কৃষকদের পরিমিত সেচ এবং নিয়ম মেনে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাবালিয়া থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ

শাকিবের সিনেমায় ‘চাঁদ মামা’ চমক নুসরাতের

অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে: হাইওয়ে পুলিশপ্রধান

সিমন্সকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত রেখে দিলো বিসিবি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১৮

২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা