ভিডিও বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি, একটি গোষ্ঠী বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না : মির্জা ফখরুল

পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি, একটি গোষ্ঠী বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না : মির্জা ফখরুল, ছবি: সংগৃহীত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৫ মার্চের এই কালো দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা করেছে লাখো নিরীহ মানুষকে। কিন্তু পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি। এ কথা বলছি এ কারণে, একটি গোষ্ঠী এই বিষয় আমলে নিচ্ছে না। তারা বলেছ, ৭১ কোন ঘটনা না।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানী রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত বাকশালের ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদেরকে বারবার বলতে হবে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করতো না। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। সুতরাং, আওয়ামী লীগকে আর কোন গণতন্ত্রের সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারি না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। এটাই এদের চরিত্র। ওরা দেখে, জনগণ যখন ক্ষেপে উঠে, তখন ওরা এভাবে কর্মীদের অরক্ষিত রেখে পালিয়ে যায়। এবার তাই করেছে, জনতার ক্ষোভে ভারতে পালিয়ে গেছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, ২৫ মার্চের এই কালো দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা করেছে লাখো নিরীহ মানুষকে। কিন্তু পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি। এ কথা বলছি এ কারণে, একটি গোষ্ঠী এই বিষয় আমলে নিচ্ছে না। তারা বলেছ, ৭১ কোন ঘটনা না। তারা বরং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে। তাদের নাম বলতে চাই না। এখন তারা আবার গলা ফুলিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে। ইতিহাস তো ইতিহাস। এটা যেন আমরা ভুলে না যাই।

তিনি বলেন, সংস্কার প্রথম শুরু হয়েছে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে, পরে করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের মৌলিক সংস্কার কিন্তু বিএনপি’র হাতে দিয়েই হয়েছে। এখন ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাব দিয়েছে তো বিএনপি, ১৬ সালে বিএনপি’র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০৩০ ভিশন দিয়েছেন। সংস্কার কোন নতুন বিষয় নয়। অথচ অন্তর্বতী সরকার সংস্কারের পাহাড় এনেছে। আমরা সংস্কারের প্রস্তাবনায় মতামত দিয়েছি, পক্ষে-বিপক্ষে। আমরা বলেছি, নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। এটি নিয়ে আজ ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কুতুবের আবির্ভাব হয়েছে। তারা যে বাংলাদেশকে কোথায় নিতে চায় আমাদের জানা নেই। দেশের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। যেটা আমরা মেনে নেব না। কারণ সেনাবাহিনী দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, আন্দোলনের ভিত্তি তো বিএনপি করেছে। হঠাৎ করেই একটা বিপ্লব হয়নি, বিএনপি’র নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মধ্যে উঠে এসেছে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি খারাপ কাজ করে এমন কথা যেন না শুনতে হয়। এতে সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে। আগামীর বাংলাদেশ আপনাদের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বাস করি, ওরা গাড়ি বহর নিয়ে যা করুক, সমস্যা নেই। আমরা জানি ওরা কী করতে পারবে। আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। 

আরও পড়ুন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার ড মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যকে আমরা সফল করতে পারিনি। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বারবার হোঁচট খেয়েছি। শুধু কী তাই, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করেছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করতে গিয়ে বারবার আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।  অথচ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। দেশের মানুষ প্রমাণ করতেছে, ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে সরকার পরিবর্তন করতে পারে, যেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেখিয়েছে। 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে সফলভাবে স্থাপিত হলো টারবাইন

গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়- সাবেক এমপি কাজী রফিক

জামায়াতের পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা পাচ্ছেন নৌকাডুবিতে বাবা-মা হারানো ছোট্ট দিপু

বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে গণহত্যা দিবস পালন

বগুড়ার ধুনটে ২ ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণের পরিকল্পনাকারী পুলিশ গ্রেফতার

বগুড়ায় ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু : প্রথম দিন দীর্ঘ লাইন