ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকগুলো বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ ও উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এই চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়ক হবে।
এই চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে, বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতার অঙ্গীকার দেখা যাচ্ছে, যেমন—সাংস্কৃতিক বিনিময়, গণমাধ্যম, ক্রীড়াক্ষেত্র, স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা, এবং শিল্পকলা ও সাহিত্য আদান-প্রদান। বিশেষত, দুই দেশের সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ এবং সৃজনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা হবে।
এছাড়াও, দুটি দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পাঁচটি প্রধান চুক্তি এই ধরনের সহায়তার ক্ষেত্রে আরও গভীর এবং বহুমুখী সহযোগিতার পথ তৈরি করবে—
বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা: এই চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ এবং চীন যৌথভাবে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে আলোচনা শুরু করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।
চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু: এই বিশেষায়িত অঞ্চলটি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য খাতে উন্নয়ন ঘটাবে।
আরও পড়ুনমোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ: মোংলা বন্দর বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, এবং এটি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে।
রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ: চীনা প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশে একটি রোবট ফিজিওথেরাপি এবং পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যা স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান: এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনের পক্ষ থেকে বিশেষ ধরনের কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি প্রদান করা হবে, যা দ্রুত সেবায় সহায়তা করবে এবং হৃদরোগের চিকিৎসায় প্রভূত সুবিধা নিয়ে আসবে।
প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে চার দিনের চীন সফরে রয়েছেন। এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন— পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মন্তব্য করুন