মায়েদের ঈদটা যেন রান্না আর ঘর গুছানো

নিজের আলোয় ডেস্ক : মায়েদের ঈদটা যেন রান্না ঘর গোছানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ । অক্লান্ত পরিশ্রমের ঈদ মায়েদের জন্য হলেও, তাদের দেখা যায় ঈদের দিনে সবার মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিতে।
আমরা ঈদের জন্য নতুন পোশাক কিনি। প্রচুর রান্নাবান্না করে গৃহবধু এবং মা। কিন্তু নিজের জন্য এতটুকু চাইবার প্রয়াস ও রাখেন না তিনি।
আমার মাকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি নিজের জন্য কোনো চিন্তাই করেন না। বাবাও তাই। ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরে বের হবে না, আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কাজটি যেনো আমাদেরই। মায়েরা ঈদের দিনেও সবার জন্য মজার খাবার দাবার রান্না করে রাখেন
বাবাদের হয়তো বন্ধুবান্ধব থাকতে পারে। ঈদের দিনে বাবারা ঘুরতে যান বন্ধুবান্ধব এর সাথে আড্ডা দিতে চান। কিন্তু মায়েদের জীবন? মায়েরা ঈদের দিনেও সবার জন্য মজার খাবার দাবার রান্না করে রাখেন। যেন বাড়িতে মেহমান আসলে তাদের কটু কথা শুনতে না হয়।
ঈদের দিন কি রান্না হলো, ঘর কতখানি গোছানো এইসব দেখ বিচার করা হয় পরিবারের নারী সদস্যকে। যেনো নারী সদস্যের কাজ ঘরটাই ঠিক করে গোছানো। আর পুরুষদের বিচার করা হয় তার ঘরে কত দামি আসবাব পত্র আছে।
মূলত ঈদ বা কোনো অনুষ্ঠানে একজন আরেকজনের বাসায় যায়, পুরুষ তার অর্থ উপার্জন করে কতগুলো দামী আসবাব কিনতে পেরেছে আর নারীদের কে বিচার করা হয়, নারী সেই পুরুষের কেনা সামগ্রীটি ঠিক মত গুছিয়ে রাখছে কিনা।
ঈদের একটা আনন্দের দিনে নারী চাইলে ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারে। নিজের যত্ন নিতে পারে যে রকমের শ্রম আমরা নারীদের কাছ থেকে আশা করি সেটা মাঝেমধ্যে অনেক নিষ্ঠুর এক্সপেকটেশন হয়ে ওঠে। এবং আমরা এটাকে আরো বেশী গ্লোরিফাই করে এমন ভাবে ন্যায্য হিসেবে সবার সামনে প্রদর্শন করতে চাই যেনো নারীর কাজ এর বাইরে কিছুই নয়। ঈদের একটা আনন্দের দিনে নারী চাইলে ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারে। নিজের যত্ন নিতে পারে। কিন্তু সেটা না করে নারী পরে থাকে রান্নাঘরে। কারণ, আমরা ধরেই নিয়েছি, নারীর স্থান ঘরেও না, ঘরের রান্নাঘরে।
মন্তব্য করুন