ভিডিও মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫

বাড়ি ফিরে যে বার্তা দিলেন তামিম ইকবাল

বাড়ি ফিরে যে বার্তা দিলেন তামিম ইকবাল, ছবি: সংগৃহীত।

স্পোর্টস ডেস্ক:  শুক্রবার দুপুরের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে রাজধানীর বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। হার্ট অ্যাটাকের ধকল কাটিয়ে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখে তাকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন শুধু ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার পালা।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় ফিরে যান তামিম। সেখানেই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পারিবারিকভাবে তার চিকিৎসা চলমান থাকবে।বাড়ি ফিরে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে একটি বার্তা দিয়েছেন তামিম।

পোস্টে তিনি বলেন, “আপনাদের সবার দোয়ায় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়। উথালপাথাল এই চারটি দিনে নতুন জীবন যেমন পেয়েছি, তেমনি আমার চারপাশকে আবিষ্কার করেছি নতুন করে। সেই উপলব্ধির সবটুকুতে মিশে আছে কেবল ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবার ভালোবাসার ছোঁয়া ক্যারিয়ারজুড়ে নানা সময়ই পেয়েছি। তবে এবার তা অনভুব করতে পেরেছি আরও তীব্রভাবে। আমি সত্যিই আপ্লুত।

বিকেএসপিতে আমার অসুস্থতার শুরু থেকেই অনেককে পাশে পেয়েছি তাৎক্ষণিকভাবে। ম্যাচ রেফারি দেবু দা (দেবব্রত পাল), বিকেএসপির চিকিৎসকরা এবং আরও যারা তখন ছিলেন সেখানে, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার যে ভাই আমাকে দ্রুতগতিতে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।আমাদের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, আমার আসলে জানা নেই। আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন যে, ডালিম ভাই ওই সময় সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে হয়তো আমাকে বাঁচানো যেত না। উপযুক্ত মানুষকে উপযুক্ত সময়ে আমার পাশে রেখে আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন।

মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফ ওয়াসিমের কথা না বললেও নয়। শুরু থেকে এখনও সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়েই আছে আমার। কেপিজে হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তার দক্ষ চিকিৎসক দল তাদের পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার মিশেলে যেভাবে দ্রুততায় চিকিৎসা করেছেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মান ও কার্যকারিতাই ফুটে উঠেছে তাতে। আমি পরে শুনেছি যে, দেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডা. মারুফ ও তার দল মিরাকল ঘটিয়েছেন।

আরও পড়ুন

গোটা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে যারা যে কোনোভাবে যতটুকু সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে হৃদয়ে লালন করব আজীবন। এই হাসপাতালে যতটুকু সময় ছিলাম, তাদের হৃদ্যতার পরশ অনুভব করে যাব সবসময়।ঢাকা শহরের বাইরে ওই এলাকায় এতটা উঁচু মানের হাসপাতাল আছে, এতটা কুশলী চিকিৎসক দল ও স্টাফরা আছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে চলার একটি প্রমাণ এটি। দেশজুড়ে নানা জায়গায় এর কাছাকাছি মানের হাসপাতাল যদি আরও কিছু থাকে, আমার মতো আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে।

ধন্যবাদের তালিকা আসলে শেষ হওয়ার নয়। আরও অনেকেই নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, অনেকের কথা জানি, অনেকের কথা হয়তো জানি না। এতটুকু জানি, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় তারা কিছু করেননি। আমি তাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ সারা জীবনের জন্য। পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ এখনও দীর্ঘ। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক। ভালোবাসা সবার জন্য।”

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূসকে মোদির চিঠি

নারায়ণগঞ্জে যুবককে গুলি করে হত্যা

কুষ্টিয়ায় ঈদগাহে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৯

ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরিফের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

ঈদের নামাজে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়